অনলাইন ডেস্ক : চর্যাপদের কবিদের দ্রোহ থেকে কৈবর্ত্য বিদ্রোহ। ফকির বিদ্রোহ থেকে ফরায়েজি আন্দোলন। বাঁশের কেল্লা নিয়ে রুখে দাঁড়ানো তিতুমীর। কলের বোমা হাতে ক্ষুদিরাম বসু, রবিঠাকুরের ছুঁড়ে ফেলা নাইট উপাধি। নজরুলের দ্রোহ। বাহান্নর মায়ের ভাষার জন্য রক্তে ভেজা বুক। উনসত্তরের আসাদের শার্ট। সকল দ্রোহের সামষ্টিক সময় বাংলাদেশ ১৯৭১। ত্রিশলক্ষ শহীদ আর অযুত বীরাঙ্গনার সম্ভ্রমের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি পতাকা।

জনযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সাংস্কৃতিক কর্মীদের কথা-কথিকা-কবির শব্দ, সাহস যুগিয়েছিল রণাঙ্গনের যোদ্ধাদের। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্যদিয়ে পেয়েছি আমাদের মানচিত্র। যখনি মানচিত্র খাবলে ধরেছে পুরানো শকুন, সাংস্কৃতিক কর্মীরা জেগেছিল। আমরা জেগে আছি।
বিজয়ের এই ৪৯তম উদযাপনকে সামনে রেখে, কানাডার টরন্টো শহরে, ডিসেম্বরের ১ তারিখে দ্রোহের উচ্চারণে কবিতায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। শুরু হয় বিজয়পক্ষ। সংগঠক আহমেদ হোসেনের “অন্যস্বর” এর পক্ষকাল ব্যাপি বিজয়ের কবিতা গান “দ্রোহ এনেছে বিজয় ৭১”। সম্ভবত বহির্বিশ্বে এই প্রথম পক্ষকাল ব্যাপি বিজয়ের এই মুগ্ধতার আয়োজন। উদ্বোধন করে সমৃদ্ধ করেছেন এবং প্রায় প্রতিদিন উপস্থিত হয়ে স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের একজন শব্দসৈনিক কবি আসাদ চৌধুরী।

দ্রোহের সলতের মাঝে দাহ্য ঢালতে এসেছেন আরো বিধগ্ধজন এসেছেন কবি ইকবাল হাসান, হাবিবুল্লাহ দুলাল দম্পতি, শেখ শাহেনেওয়াজ, সঙ্গীতশিল্পি শিখা রৌফ-জগলুল আজিম রানা, ফাইজুল করিম হাসমত চৌধুরী, সুমন রহমান দম্পতি, কবি দেলওয়ার এলাহী, শিবু চৌধুরী, কবি দিলারা হাফিজ, আমিন মিয়া। কাব্যপ্রেমী রাবেয়া হোগেন মিলি চৌধুরী আরো অনেকে।
৮ ডিসেম্বরে ছিল দ্রোহাঞ্জলির অষ্টমী রাত। দ্রোহের আগুন মর্যাদার আলোকবর্তিকা হয়ে জ্বলবে ১৬ তারিখ পর্যন্ত।

এই আয়োজনে যারা সশরীরে, ফেইসবুক লাইভে এসে, প্রসংশা সূচক প্রেরণায় আমাদের পাশে আছেন এবং আমাদেরকে পাশে রেখেছেন “অন্যস্বর” আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
আর দ্রোহের উচ্চারণে মুখরিত অনেকগুলো প্রাণকে আঙ্গনে যারা ঠাঁই দিয়েছেন, শায়লা রহমান -মিজান রহমান ও কিশওয়ারা। হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই।
ভিডিও চিত্র ও স্থির চিত্রে মনির বাবু আপনার অবদান জিয়ে থাকুক আমাদের প্রতিটি কাজে।
হিমাদ্রী রয় সঞ্জীব। ছবি ঋণ-মনির বাবু।