২৬শে মার্চ বাংলাদেশের জন্মদিন, স্বাধীনতা দিবস। একই সাথে মার্চ মাস হলো অন্টারিও প্রদেশ ঘোষিত বাংলাদেশ হেরিটেজ মাম্থ। এই স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে বাংলাদেশী কমিউনিটির সকলের পক্ষ থেকে বিসিসিএস অন্টারিও প্রাদেশিক সংসদ ভবন – কুইন্সপার্কের সম্মুখে মঙ্গলবার মার্চ ২৯ তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার অনুমতি পেয়েছে। বাংলাদেশ সেন্টার ও কমিউনিটি সার্ভিসেস গত চার বছরের মতো এবারও পতাকা উত্তোলনের এই মহান কর্মের দায়িত্ব নিয়েছে। প্রাদেশিক সরকারের স্পীকারসহ তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে এই পতাক উত্তোলন করা হয়। সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন সমাজের অনেক গণ্যমান্য ব্যাক্তিসহ টরন্টোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কন্সুলেট জেনারেল জনাব লুতফর রহমান।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিসিসিএস এর সভাপতি হাসিনা কাদের। হাসিনা কাদের’র বক্তব্যের পর বক্তব্য রাখেন অন্টারিও প্রাদেশিক সংসদের স্পীকার সন্মানিত টেড আর্নট এবং বাংলাদেশের কন্সুলেট জেনারেল জনাব লুতফর রহমান। তার পর বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত এর সাথে সাথে অন্টারিও প্রাদেশিক সংসদ ভবন – কুইন্সপার্কের সম্মুখে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ বছর পতাকা উত্তোলনের এই মহান দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল আমাদের নতুন প্রন্মদের হাতে। অনুর্ধ ১৮ বছরের ছেলে মেয়েদের হাত দিয়ে এই পতাকা উত্তোলনের মহান কাজ করা হয়। তার পর কানাডার জাতীয় সঙ্গীত বাজিয়ে কানাডার প্রতিও সন্মান দেখানো হয়।


এর পর একে একে বক্তব্য রাখেন প্রগ্রেসিভ কঞ্জারভেটিভ পার্টির এমপিপি এরিস বাবিকিয়ান, নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপিপি ডলি বেগম, লিবারেল পার্টির এমপিপি মিটসি হান্টার। গ্রীন পার্টির এমপিপি মাইক স্রাইনার এর পক্ষ থেকে স্ক্রোল পড়ে শুনানো হয়।

নতুন প্রজন্মদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ইফতেখার আলী এবং সর্বকনিষ্ঠ অংশগ্রহণকারী আবান নুর। অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে বাংলাদেশের বিশাল পতাকা ঘিরে উপস্থিত সকলের সাথে ছবি তোলার পর্বের সাথে সাথে কবি সামসুর রহমান এর লেখা “স্বাধীনতা তুমি” কবিতাটি আবৃতি করেন টরন্টোর অতি পরিচিত আবৃতি শিল্পী দিলারা নাহার বাবু।