অনলাইন ডেস্ক : ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসটি কানাডা আওয়ামী পরিবারের ব্যানারে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালন করেন কানাডা আওয়ামী লীগ, অন্টারিও আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কানাডা, কানাডা ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা কর্মী-শুভানুধ্যায়ী এবং সর্বস্তরের জনগণ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকাবস্থায় এ ধরনের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর তার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী চার জাতীয় নেতাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। ৩ নভেম্বর সেখানেই নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাদের। একাত্তরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন দেশ মাতৃকার সেরা সন্তান জাতীয় এই চার নেতাকে শুধু গুলি করেই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলি বিদ্ধ দেহকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিলো। প্রগতি সমৃদ্ধির অগ্রগতি থেকে বাঙালি জাতীকে পিছিয়ে দিয়েছিলো। ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যার এ ঘটনায় তখনই লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু ২১ বছর ধরে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার জেল হত্যা মামলার প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করে। এরপর দীর্ঘ আট বছরেরও বেশি সময় বিচারকাজ চলার পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২০ আসামির মধ্যে ১৫ সাবেক সেনা কর্মকর্তার শাস্তি ও অপর পাঁচজনকে খালাস দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে পলাতক তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে টরন্টোর বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ভিক্টোরিয়া পার্ক ও ড্যানফোর্থ এ্যভেনিউ এর প্রাণ কেন্দ্রে যথাযোগ্য মর্যাদায় একটি রেলি ও শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।

অন্টারিও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মোস্তফা কামাল সভাপতি, গোলাম সরোয়ার সহ সভাপতি, মাসুদ আলী লিটন সাধারণ সম্পাদক, খালেদ শামীম দপ্তর সম্পাদক, অ্যাডঃ আফিয়া বেগম উপদেষ্ঠা, কানাডা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শেখ জসিম উদ্দিন দপ্তর সম্পাদক, আব্দুল মান্নান, মোর্শেদ আহম্মেদ মুক্তা সংগঠণিক সম্পাধক, নজরুল আহমেদ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আমিন মিয়া, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ বিন্দু , বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ময়মনসিংহ জেলার সাবেক সভাপতি আশীষ নন্দী, স্বেচ্ছা সেবক লীগের সহ সভাপতি অ্যাডঃ কামরুল ইসলাম, কানাডা ছাত্রলীগের পক্ষথেকে ওবায়দুর রহমান সভাপতি, মেহেদী হাসান শাওন সহ সম্পাধক, আতিকুর রহমান, রুসলান, নাবিল রহমান, ইফতেখারুল হক, ফুজেল আহমেদ, কানাডা আওয়ামী পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রফিক আলম, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বিপ্লব, সুকোমল রায়, দেওয়ান হক, ঝুটন তরফদার, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল এস বি এম হামিদ, আহমেদ হোসেন আবৃত্তিকার ও সাংস্কৃতিক কর্মী সহ আরো অনেকে।

কানাডা আওয়ামী পরিবারের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানটির আয়োজক ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন তাজুল ইসলাম।