অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলনে মধ্যরাতেও শাহবাগে মানুষের উপচেপড়া দেখা গেছে। সেখানে বড় প্রজেক্টরে দেখানো হচ্ছে ডকুমেন্টারি। এতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন দেখানো হচ্ছে।
পিলখানা ও শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড, জুলাই বিপ্লব ও আয়নাঘরের ঘটনার সচিত্র বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
একটি পর্ব শেষ হলে বক্তব্য রাখেন নেতারা। সেখানে তারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনড় থাকবেন।
ফাঁকে ফাঁকে চলছে জাগরণী গান ও বিপ্লবী স্লোগান। ডকুমেন্টারি দেখার সময় অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
মাঝে মাঝে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা শাহবাগ এলাকা। শুক্রবার (৯ মে) দিবাগত রাতে দেখা গেছে এমন চিত্র।
আন্দোলনে আহত কলেজ ছাত্রী ইশরাত জাহান বলেন, তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মাঠে ছিলেন। আওয়ামী লীগ যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছে, এখনো দলটিকে নিষিদ্ধ না করা জাতির সঙ্গে তামাশার শামিল।
একই কথা জানালেন হেফাজত নেতা কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, জুলাইয়ে যে বীভৎসতা হয়েছে, এরপর আর আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বুধবার (৮ মে) রাত ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে প্রথমে আন্দোলন শুরু করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির নেতাকর্মীরা। পরে জামায়াত-শিবির, হেফাজতে ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্র-জনতা তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন।