ইউক্রেনকে নতুন করে আরও ২৫০ কোটি ডলার সাহায্য দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>অনলাইন ডেস্ক &colon;<&sol;strong> রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আবারও বিপুল অংকের সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই সহায়তার পরিমাণ ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার।<&sol;p>&NewLine;<p>বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার &lpar;৩১ ডিসেম্বর&rpar; এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।<&sol;p>&NewLine;<p>মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছেন&comma; তার প্রশাসন ইউক্রেনে প্রায় ২&period;৫ বিলিয়ন বা ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠাবে। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী জানুয়ারিতেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন এবং এর আগেই ইউরোপের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এই দেশটিতে সহায়তা পাঠাতে ব্যাপক উদ্যোগী হয়েছেন বাইডেন।<&sol;p>&NewLine;<p>মূলত বাইডেন প্রশাসনের বিদায়ী বেলায় ইউক্রেনের জন্য বর্ধিত সাহায্যের অংশ হিসেবে এই সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে বলেছেন&comma; ইউক্রেনের জন্য ঘোষণা করা এই সাহায্য সামগ্রীর মধ্যে আকাশ প্রতিরক্ষার সরঞ্জাম&comma; ড্রোন মোকাবিলার অস্ত্র&comma; উচ্চ সঞ্চরণশীল আর্টিলারি রকেট ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় সামরিক সনঞ্জাম&comma; ট্যাংক মোকাবিলার হাতিয়ার ও কামানের গোলাবারুদ রয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>সংবাদমাধ্যম বলছে&comma; ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার তিন সপ্তাহে আগে এই সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করা হলো। ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণের মাত্রা ও স্তর নিয়ে ট্রাম্প ইতোমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন&semi; আর এতে করে ইউক্রেনের নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে- আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে।<&sol;p>&NewLine;<p>এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী সোমবার বলেছে&comma; দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চল বরাবর এলাকায় একাধিক লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে রুশ বাহিনীর ছোঁড়া ২১টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছে&comma; রাশিয়া মোট ৪৩টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছিল এবং তাদের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী চেরনিহিভ&comma; নিপ্রোপেট্রোভস্ক&comma; দোনেৎস্ক&comma; খারকিভ&comma; ওডেসা ও পলতাভা অঞ্চলে ড্রোনগুলোকে ভূপাতিত করেছে।<&sol;p>&NewLine;<p>ওডেসার গভর্নর ওলেফ কিপার ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে বলেছেন&comma; ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে পাঁচটি বাসভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে&comma; তবে কেউ আহত হননি।<&sol;p>&NewLine;<p>এছাড়া খারকিভের গভর্নর ওলেফ সাইনিহুভব জানিয়েছেন&comma; ড্রোন হামলার ফলে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে&semi; পাশাপাশি এক মহাসড়কের কাছে একটি ড্রোন আঘাত হেনেছে। তবে তার অঞ্চলে কেউ হতাহত হননি বলেও দাবি করেছেন তিনি।<&sol;p>&NewLine;<p>অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার বলেছে&comma; রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত বরাবর বেলগরোদ অঞ্চলে তারা একটি ড্রোনকে প্রতিহত করেছে। কুরস্কের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা বলেছেন&comma; সোমবার সকালে ইউক্রেনের একটি ক্ষেপণাস্ত্রকে ভূপাতিত করেছে রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা।<&sol;p>&NewLine;<p>উল্লেখ্য&comma; ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। রুশ সেই আগ্রাসনের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর মাধ্যমে এবং অন্যান্য সহযোগী দেশগুলোর মাধ্যমে ইউক্রেনকে অস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা সরবরাহের কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে।<&sol;p>&NewLine;<p>প্রসঙ্গত&comma; ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। প্রায় তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক&comma; লুহানস্ক&comma; খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।<&sol;p>&NewLine;<p>এই চার প্রদেশের রাশিয়ার দখলে যাওয়া অংশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ। অবশ্য যুদ্ধরত এই দুই দেশের কেউই তাদের নিজস্ব ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ না করলেও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হতাহতের সংখ্যা কয়েক লাখ বলে অনুমান করছে।<&sol;p>&NewLine;