অনলাইন ডেস্ক : ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে ট্রুথ সোশ্যালে বলেছেন, ‘আমাদের ধৈর্য্য ক্রমশ ভেঙে যাচ্ছে’। এরপর পোস্ট করেন, ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ!’ তিনি এটাও লিখেন, ‘আমরা জানি কোথায় খামেনেই লুকিয়ে রয়েছেন। তিনি সহজ টার্গেট। তবে তাকে আমরা এই সময় হত্যা করার কথা ভাবছি না।
পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ওপরেও মিসাইল হামলা করা হবে না।‘
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি সংঘাতে না জড়ানোর কথা বারবার বললেও, যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের ওপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ওয়াশিংটন, পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোর নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে আগে যেখানে ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন ছিল, এখন সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০ হাজারে।
যুক্তরাষ্ট্র একদিকে সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে, অন্যদিকে আলোচনার পথও খোলা রাখছে। মূল লক্ষ্য—ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা এবং শর্তহীনভাবে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা।
বিশ্লেষকদের মতে, তেহরানের শাসকগোষ্ঠীতে পরিবর্তন আনা যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য হতে পারে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও চান, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন সরাসরি যুদ্ধে জড়ান এবং ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালান।
এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ইরান-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির মধ্যে বৈঠক নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আলোচনার জন্য উইটকফ বা ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে পাঠানোর কথাও ভাবছেন বলে জানিয়েছে সিবিএস নিউজ।
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতেই কানাডায় জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে সাত দেশের বৈঠক শেষের আগেই তড়িঘড়ি দেশে ফিরে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আমেরিকায় ফিরেই ট্রাম্প তেহরানের ৯৫ লাখ বাসিন্দাকে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
ট্রাম্পের সফরসঙ্গী এক প্রতিবেদক জানান, ট্রাম্প চান ইরানের পারমাণবিক সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হোক। এখনো বৈঠকের দিন-তারিখ চূড়ান্ত হয়নি, তবে এটি হতে পারে যুদ্ধ এড়াতে ট্রাম্পের শেষ কূটনৈতিক উদ্যোগ।
সূত্র : বিবিসি