অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের মধ্যে জ্বালানি তেলের মজুত বাড়াচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল আমদানিকারক দেশ চীন। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকার মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
বর্তমানে অভ্যন্তরীণ চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে তেল আমদানি ও উৎপাদন করার এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, গত মে মাসে চীনের অপরিশোধিত তেল ব্যবহারে দৈনিক ১৪ লাখ ব্যারেল উদ্বৃত্ত দেখা গেছে, যা টানা তিন মাস ধরে দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেলের বেশি।
চীনের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মে মাসে দেশটির তেল শোধনাগারগুলো দৈনিক ১ কোটি ৩৯.২ লাখ ব্যারেল তেল পরিশোধন করেছে, যা এপ্রিল মাসের তুলনায় কম এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১.৮ শতাংশ কম।
মে মাসে চীনে দৈনিক অপরিশোধিত তেল আমদানি হয়েছে ১ কোটি ৯৭ লাখ ব্যারেল, যা এপ্রিলের তুলনায় কম। তবে দেশীয় উৎপাদন সামান্য বেড়ে ৪৩.৫ লাখ ব্যারেলে পৌঁছায়। সব মিলিয়ে মে মাসে মোট ১ কোটি ৫৩.২ লাখ ব্যারেল তেল ছিল, যার মধ্যে ১৪ লাখ ব্যারেল অতিরিক্ত থেকে গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আমদানি করা তেলের সরবরাহে সাধারণত দুই মাস পর্যন্ত সময় লাগে। ফলে চীনের আমদানি হ্রাসের বাস্তব প্রভাব আগস্ট মাস থেকেই দৃশ্যমান হতে পারে।
জুন ও জুলাই মাসে তেলের এই উদ্বৃত্তের ফলে আগামীতে তেল আমদানির পরিমাণ হ্রাস করতে পারবে দেশটি। ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দামে কিছুটা নিম্নমুখী চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ১৩ জুন ইসরায়েলের ইরানে বিমান হামলার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনায় তেলের বাজারে দেখা গেছে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া। মঙ্গলবার (১৭ জুন) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রায় ৬ শতাংশ বেড়ে এশীয় বাজারে ব্যারেল প্রতি ৭৩.৫৮ ডলারে লেনদেন হয়।