অনলাইন ডেস্ক : ওকভিলের একটি প্রাইমারি স্কুলে একজন প্রতিবন্ধী ছাত্রের গালে সজোরে চড় মারা নিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে শ্রেণিকক্ষে ক্যামেরা বসানোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগি ছাত্রের মা। অন্যদিকে হেলটন স্কুল বোর্ড কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে।

জানা গেছে ১২ বছর বয়সী ওই ছাত্রটি ফালগারউড পাবলিক স্কুলে গত ৩ বছর যাবত অধ্যায়ন করছে। বাক প্রতিবন্ধী ওই ছাত্রটি মেরিব্রাল পালসি ও অটিজমেও আক্রান্ত। গত ২৪ নভেম্বর স্কুলের একজন টিচিং স্টাফ তুচ্ছ ঘটনায় তার গালে সজোরে চপোটাঘাত করে। স্কুলের প্রিন্সিপাল পরদিন বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানায় এবং ৩০ নভেম্বর হেলটন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে।

ছাত্রটির মা আবির দান্দেল বলেন, ঘটনাটি শুনে আমার প্রথম যে কথাটি মনে হয়েছে তা হল, ‘আমার সন্তান এখানে নিরাপদ নয়’। তিনি বলেন, আমার অসহায় ছেলেটার গায়ে আঘাত করা হয়েছে জানার পর আমি অনেক কেঁদেছি। বুঝতে পারছি না কী করব। আমার মর্মপীড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে- এটা ২০২১ সালের কানাডা! এখানে এখনো একজন অসহায় ছাত্রকে কেউ এভাবে আঘাত করতে পারে।

তিনি আরো বলেন টিচিং স্টাফের ব্যাখ্যা অগ্রহণযোগ্য। সে বলেছে আমার ছেলে নাকি তাকে কামড় দিয়েছে। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেছেন, ছেলেটি কিছু একটা দেখে ওই স্টাফের একটি হাত চেপে ধরেছিল। হয়তো সে একটু জোড়েই ধরেছিল। তখন ওই স্টাফ অন্যহাতে তার গালে সজোরে চড় মারে। বিষয়টি সাথে সাথে অন্য একজন স্টাফ অধ্যক্ষকে জানান। আবির দান্দেল অভিযোগ করেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের সামলানোর জন্য এসব স্টাফদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। তারপরও যদি আপনি তা করতে না পারেন তা হলে অন্য কোন পেশায় চলে যান। কেন আপনি তুচ্ছ কারণে শিশুদের আঘাত করবেন।

হেলটন ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ডের মুখপাত্র মেরিন ডেন্টন বলেন, তারা এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছেন। পুলিশকেও জানানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই স্টাফকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে আদিবাসী শিশু ও প্রতিবন্ধীদের পক্ষে সোচ্চার বিভিন্ন গ্রুপ এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা দোষী ব্যাক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। তবে শ্রেণিকক্ষে ক্যামেরা স্থাপনের দাবি স্কুলকর্তৃপক্ষ বাতিল করে দিয়ে বলেছে, এতে ছাত্রদের ‘প্রাইভেসি’ নষ্ট হবে। সূত্র : সিবিসি