Home কানাডা খবর কবিতা সন্ধ্যা “মানুষ জাগবে ফের” সমাজের সচেতন মানুষদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি

কবিতা সন্ধ্যা “মানুষ জাগবে ফের” সমাজের সচেতন মানুষদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;&NewLine;<div class&equals;"wp-block-image"><figure class&equals;"aligncenter"><img src&equals;"http&colon;&sol;&sol;www&period;banglakagoj&period;com&sol;wp-content&sol;uploads&sol;2019&sol;11&sol;B-K-3-1&period;jpg" alt&equals;"" class&equals;"wp-image-1203"&sol;><&sol;figure><&sol;div>&NewLine;&NewLine;&NewLine;&NewLine;<figure class&equals;"wp-block-image"><img src&equals;"http&colon;&sol;&sol;www&period;banglakagoj&period;com&sol;wp-content&sol;uploads&sol;2019&sol;11&sol;B-K-4-1&period;jpg" alt&equals;"" class&equals;"wp-image-1204"&sol;><&sol;figure>&NewLine;&NewLine;&NewLine;&NewLine;<p>অবক্ষয়&excl; হ্যাঁ&comma; আদর্শের অবক্ষয়&comma; মূল্যবোধের অবক্ষয়&comma; এখন সর্বত্র। শুধু অবক্ষয় বললে ভুল হবে। বিশ্ব জুড়ে এখন অনৌচিত্য। ন্যায় ও নীতির প্রসঙ্গে বর্তমান সমাজ&comma; রাষ্ট্র&comma; সংসার কিংবা আইন-আদালত&comma; এগুলোর কোনো কিছুর ওপরই সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল হওয়া যায় না আর। অন্যায় ও অবিচার এমনভাবে বেড়ে চলছে যে ন্যায়বোধ ধীরে ধীরে নীরব হয়ে পড়ছে। ভয়ে নির্বাক হয়ে পড়ছে মানুষেরা। জীবনের মায়া নতুবা স্বার্থের লোভে সবাই একপ্রকার স্বেচ্ছায় অন্ধত্ব গ্রহণ করছে যেন। সুযোগে হত্যা&comma; খুন&comma; ধর্ষণের মতো নিকৃষ্টতর অপরাধগুলো হ্রাস পাওয়ার পরিবর্তে&comma; ওই অপরাধগুলোতে ছেয়ে যাচ্ছে পৃথিবী। এর মাঝেও কিছু সচেতন মানুষ ন্যায়ের পক্ষে হাল ধরে থাকে&comma; অন্যায়ের বিরুদ্ধ্বে জেগে উঠতে অন্যকে অনুপ্রাণিত করে। আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখার চেষ্টা করে। স্বপ্ন দেখে &OpenCurlyDoubleQuote;শান্তি” এবং অন্যকেও একই স্বপ্ন দেখতে সহায়তা করে।<&sol;p>&NewLine;&NewLine;&NewLine;&NewLine;<p>হ্যাঁ&comma; টরন্টোর বাচিক শিল্পীদের সংগঠন &OpenCurlyDoubleQuote;বাচনিক” ওই সচেতন মানুষদেরই প্রতিকৃতি। একগুচ্ছ স্বপ্ন নিয়ে এ বছর &OpenCurlyDoubleQuote;মানুষ জাগবে ফের” স্লোগানে তারা তাদের ষষ্ঠ বার্ষিক আবৃত্তি সন্ধ্যা আয়োজন করে। অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় গত ২ নভেম্বর&comma; ২০১৯&comma; শনিবার&comma; ব্লেসড কার্ডিনাল নিউম্যান ক্যাথোলিক হাই স্কুলের অডিটেরিয়ামে। <br>&NewLine;কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত &OpenCurlyDoubleQuote;ত্রাণ” কবিতা সমবেত উপস্থাপনা। পরপরই বাচনিকের কাণ্ডারি মেরী রাশেদীনের সঞ্চালনায় প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন টরন্টোর বিভিন্ন পেশার গুণীজন এবং তাঁরা প্রদীপগুলো হস্তান্তর করেন নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের হাতে। <&sol;p>&NewLine;&NewLine;&NewLine;&NewLine;<p>বাচনিক উপদেষ্টা রাশেদা মুনিরের সঞ্চালনায় কবি আসাদ চৌধুরী কবি মাসুদ খানের হাতে তুলে দেন বাচনিক সম্মাননা -২০১৯। সম্মাননা পর্বে মঞ্চে উপস্থিত থেকে বিভিন্নভাবে কবি মাসুদ খানকে সম্মান জানান অন্টারিও প্রদেশের সংসদ সদস্য ডলি বেগম&comma; টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল নাইমউদ্দিন আহমেদ&comma; বাচনিক উপদেষ্টা দেলওয়ার এলাহি ও হাসান মাহমুদ। <br>&NewLine;শিল্পীরা উত্থিত কণ্ঠে এক এক করে পাঠ করেন&comma; আসাদ চৌধুরী রচিত &OpenCurlyDoubleQuote;তখন সত্যি মানুষ ছিলাম” হুমায়ূন আজাদ রচিত &OpenCurlyDoubleQuote;সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে”&comma; নাজিম হিকমত রচিত ও সুভাষ মুখোপাধ্যায় অনুবাদিত &OpenCurlyDoubleQuote;জেলখানার চিঠি”&comma; রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত &OpenCurlyDoubleQuote;মাংশভুক পাখি”&comma; আনিসুল হক রচিত &OpenCurlyDoubleQuote;মানুষ জাগবে ফের” শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত &OpenCurlyDoubleQuote;দাঁড়াও”&comma; নির্মলেন্দু গুণ রচিত &OpenCurlyDoubleQuote;রাজদণ্ড” কাজী নজরুল ইসলাম রচিত &OpenCurlyDoubleQuote;কাণ্ডারি হুঁশিয়ার”&comma; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত &OpenCurlyDoubleQuote;কোথায় আলো”&comma; সৈয়দ শামসুল হক রচিত &OpenCurlyDoubleQuote;পরাণের গহীন ভিতরে”&comma; কেস্ট মণ্ডল রচিত &OpenCurlyDoubleQuote;গান্ধারী” কবিতা সহ আরও অনেক শক্তিশালী&comma; দৃঢ়চেতা কবিতা। অনুষ্ঠানের শিরোনামের সাথে মিল রেখে কবিতা নির্বাচনে শিল্পীরা তাদের মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। নির্বাচিত প্রতিটি কবিতাই বলিষ্ঠ বার্তা বাহক। শিল্পীদের পরিবেশনাও ছিল সাবলীল ও নান্দনিক।<&sol;p>&NewLine;&NewLine;&NewLine;&NewLine;<figure class&equals;"wp-block-image"><img src&equals;"http&colon;&sol;&sol;www&period;banglakagoj&period;com&sol;wp-content&sol;uploads&sol;2019&sol;11&sol;B-K-5-1&period;jpg" alt&equals;"" class&equals;"wp-image-1205"&sol;><&sol;figure>&NewLine;&NewLine;&NewLine;&NewLine;<p>বাচনিকের বাৎসরিক আবৃত্তি সন্ধ্যার অন্যতম আকর্ষণ&comma; প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের বাচিক শিল্পীদের পরিবেশনা। বাংলা সংস্কৃতির সাথে তাদের সম্পৃক্ততা। নতুন প্রজন্মের যারা কবিতা পাঠ করেছেন তারা হচ্ছেন&comma; সম্পূর্ণ সাহা&comma; নাজিয়া হক&comma; তানিয়া হক&comma; অনুভা নাথ জয়ী। <br>&NewLine;উপস্থিত দর্শক শ্রোতা পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন পুরো অনুষ্ঠান। মেরী রাশেদীনের কণ্ঠে &OpenCurlyDoubleQuote;গান্ধারী” কবিতা উপস্থিত সবার মধ্যে একপ্রকার আলোড়ন সৃষ্টি করে। তারা শিল্পীর কণ্ঠে গান্ধার রাজকন্যা’র আহ্বান শুনতে পায়&comma; &OpenCurlyDoubleQuote;গৃহে গৃহে প্রজ্বলিত হবে লক্ষ লক্ষ গান্ধারী&comma; যারা প্রিয়তম প্রেমে স্বেচ্ছা নিবেদনে কুণ্ঠিত হবে না। কিন্তু আর গান্ধারী’র অন্ধতা নয়। পতি অন্ধ হলে নিজের দৃষ্টির তীক্ষ্ণ আলোতে পথ দেখাবে তাকে&comma; পথ দেখাবে সন্তানের শিক্ষা। তার সহগ্র সূর্যের জ্যোতিঃপুঞ্জে উদ্ভাসিত হবে সংসার। আলোকিত হবে ভুবন। রক্ষা পাবে আরও সহগ্র কুরুক্ষেত্র।”। আবার সমবেত কণ্ঠে মহাদেব সাহা রচিত &OpenCurlyDoubleQuote;শান্তির গান” কবিতা পাঠ করে শিল্পীরা তাদের আকাঙ্খা ও স্বপ্নের বীজ বপন করেন দর্শক-শ্রোতাদের হৃদয়ে&comma;&OpenCurlyDoubleQuote;এই পৃথিবীতে আমরা শান্তি চাই”। <&sol;p>&NewLine;&NewLine;&NewLine;&NewLine;<div class&equals;"wp-block-image"><figure class&equals;"aligncenter"><img src&equals;"http&colon;&sol;&sol;www&period;banglakagoj&period;com&sol;wp-content&sol;uploads&sol;2019&sol;11&sol;B-K-6-1&period;jpg" alt&equals;"" class&equals;"wp-image-1206"&sol;><&sol;figure><&sol;div>&NewLine;&NewLine;&NewLine;&NewLine;<p>আশাবাদী এক ঝাঁক শিল্পীদের ইতিবাচক পরিবেশনায় উদ্দীপ্ত হয়ে যদি একজন মানুষও নিজের দুর্বলতা ও ভুল নির্ণয় করতে পারে এবং স্বেচ্ছা-অন্ধতা থেকে মুক্তি লাভ করতে সক্ষম হয়&comma; তবেই হবে শিল্পীদের এমন আয়োজনের সার্থকতা। প্রতিটি সচেতন মানুষের কামনা তো এটাই&comma; স্বপ্নের বীজ অবচেতন মনেও অঙ্কুরিত হবে&comma; বড় হয়ে ছড়িয়ে যাবে ধীরে ধীরে। <br>&NewLine;অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেছেন&comma; অরুণা হায়দার&comma; আসমা হক&comma; ইরা নাসরিন&comma; কাজী আব্দুল বাসিত&comma; কাজী হেলাল&comma; ফারহানা আহমদ&comma; ফ্লোরা নাসরিন ইভা&comma; ম্যাক আজাদ&comma; মেরী রাশেদীন&comma; রাশেদা মুনির&comma; সাবরিনা নুর&comma; সুমি রহমান ও হোসনে আরা জেমী। <br>&NewLine;বিভিন্ন কবিতার সাথে নৃত্য পরিবেশন করেছেন&comma; তাসনীম আহমেদ অর্ণি&comma; রায়না রাকিব&comma; হৃদা রহমান&comma; রচনা খন্দকার। তবলায় সংগত করেছেন রনি পালমার&comma; কীবোর্ডে আকীব আক্তার ও গীটারে আজীম অপূর্ব। শব্দ ও আলোক সংযোজন করেছেন হাসান ইমাম রনি ও কে এম আনিসুর রহমান। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান। খুরশীদ শাম্মী<&sol;p>&NewLine;

Exit mobile version