অনলাইন ডেস্ক : করোনা মহামারির প্রভাবে কানাডার চাকরির বাজার দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী কার্লা কুয়াল্টরাফ। গত ২২ মে তিনি এক সিবিসি নিউজের সাথে সাক্ষাৎকারে এ আশঙ্কার কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে মহামারি থাকার ফলে দেশে বেকারত্বের হার দ্বিগুণ বেড়ে যেতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এই মুহূতে,যেসব যুবক গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে তাদের চাকরির বাজারে প্রবেশ করাটা কষ্টসাধ্য হবে। ভাগ্যবান কিছু যুবক হয়তো কাজ পেতে পারে, তবে তা তাদের চাহিদা অনুযায়ী মান সম্পন্ন নাও হতে পারে। এছাড়া কাজে যোগদানের পর পদোন্নতি, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি এগুলো দীর্ঘায়িত হতে পারে। আবার অনেকে তুচ্ছ কারণে বা সামান্য অজুহাতে চাকরীচ্যুতও হতে পারে। মোট কথা মহামারী পরবর্তী কানাডায় চাকরির বাজারে ‘দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতের’ সৃষ্টি হতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা যদি এই অবস্থার মোকাবেলা করতে, চাই তাহলে সবাইকে নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে হবে। অন্যথায় আমরা আমাদের সম্ভাবনাময় একটি প্রজন্মকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেব।

স্ট্যাটিসটিকস কানাডার দেয়া তথ্যমতে গত এপ্রিলে কানাডায় নতুন বেকারের হার ছিল ১৬.১%। ২০২০ সালে এই হার ছিল গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ২০.১%। কানাডার ইয়ুথ অ্যামপ্লয়মেন্ট সার্ভিসের প্রধান নিবার্হী টিমোথি লেং বলেন, এপ্রিলের ১৬.১ % নতুন বেকারের সাথে চাকরিচ্যুতির ফলে বেকার হওয়ার সংখ্যা যোগ করলে ওই হার ২০ শতাংশের কাছাকাছি হবে। চাকরির বাজারের এই মন্দাবস্থা আগামী দিনগুলোতেও বজায় থাকবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। মহামারির তৃতীয় ঢেউ চলাকালে কানাডায় ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী এক লাখ ১ হাজার যুবক চাকরি হারিয়েছে বলে তিনি জানান।
কর্মসংস্থান মন্ত্রী কার্লা কুয়াল্টরাফ বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফেডারেল সরকার কিছু প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়েছে। বাজেটে তরুণদের প্রশিক্ষণ ও ঋণ দেয়ার জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের একার পক্ষে এই সমস্যা মোকাবেলা সম্ভব নয়। আমি আশাবাদী সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে। একটা পুরো প্রজন্মকে তো আর হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। সূত্র : সিবিসি নিউজ