অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাস থেকে বাসিন্দাদের সুরক্ষা দিতে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে কানাডা সরকার। দেশটির নাগরিকদের ১৪ কোটি র‍্যাপিড টেস্ট কিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসেই এসব কিট বিতরণ করা হবে। খবর সিএনএনের।

কানাডার বর্তমান জনসংখ্যা ৩ কোটি ৮০ লাখ। অর্থাৎ জনসংখ্যার তুলনায় তিন গুণের বেশি কিট সরবরাহ করছে সরকার। কানাডার প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। করোনার নতুন ধরন অমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর দেশটিতে সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণের একই চিত্র লক্ষ করা যাচ্ছে কানাডার ক্ষেত্রেও। গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে সংক্রমণ সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছিল। এ সময় ৮ কোটি কিট সরবরাহ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

কানাডায় শীতের প্রকোপ বাড়ছে। এই সময় যাতে করোনার পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে না যায়, এ জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। গতকাল বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘অমিক্রন যেভাবে আমাদের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে এবং সারা দেশে ছড়াচ্ছে, তাতে র‍্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা করা যুক্তিযুক্ত।’

কিট সরবরাহ ছাড়াও টিকা নিয়েও কথা বলেছেন ট্রুডো। তিনি বলেন, সরকারের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে টিকা মজুত আছে। এ দিয়ে কানাডায় বসবাসরত সবাইকে টিকা দেওয়া সম্ভব। অমিক্রনের ঢেউ ঠেকাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা যাতে ভেঙে না পড়ে, সে জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রুডো।

এ প্রসঙ্গে কানাডার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জ্যঁ ইভেস ডুক্লস বলেন, প্রত্যেকে করোনা টেস্টিং কিট দেওয়া হবে।
টিকা কর্মসূচির কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বয়স ৫ থেকে ১১ বছরের মধ্যে—এমন ৪০ শতাংশ শিশুকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। বাকি শিশুদের দেওয়ার মতো টিকা রয়েছে। দেশটিতে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ৭০ লাখ মানুষ এ পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।

দেশের করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা ২০২০ সালের মার্চ নয়। এটা ২০২২ সালের জানুয়ারি। আমাদের পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।’ এ পরিস্থিতির আরও উন্নয়ন ঘটাতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।