অনলাইন ডেস্ক : ব্রেক্সিট-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য গতিশীল রাখার লক্ষ্যে নতুন একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে চলেছে যুক্তরাজ্য ও কানাডা। কয়েক দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। বিষয়টিতে ওয়াকিবহাল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। খবর ব্লুমবার্গ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য হিসেবে কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে আবদ্ধ ছিল ব্রিটেন, যা ব্রেক্সিটের রূপান্তরকালীন সময়েও বলবৎ রয়েছে। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর রূপান্তরকাল পেরিয়ে যাওয়ার পর এ চুক্তির কার্যকারিতা আর থাকবে না। ফলে নতুন করে কোনো চুক্তি না হলে ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্যে উভয় দেশকেই শুল্ক বাধার মুখোমুখি হতে হবে।
নতুন এই চুক্তি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তিদায়ক হয়ে দাঁড়াবে। ইইউ থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্ববাণিজ্যে নিজেদের স্বতন্ত্র ভাবমূর্তি তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাজ্য। কানাডার সঙ্গে নতুন চুক্তিকে সেই প্রচেষ্টায় বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০১৯ সালে কানাডা ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের আকার ছিল প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি পাউন্ড (২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার)। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর কানাডার সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার হলো যুক্তরাজ্য। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে দেশটিতে মোট ১ হাজার ৪০০ কোটি কানাডীয় ডলারের পণ্য রফতানি করেছে কানাডা। বিপরীতে আমদানি করেছে ৬৯০ কোটি কানাডীয় ডলারের পণ্য।
কানাডার সঙ্গে এ চুক্তি ইইউ-ব্রিটেন ব্রেক্সিট-উত্তর বাণিজ্য চুক্তির আলোচনার পালেও হাওয়া জোগাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে যুক্তরাজ্যকে এখন জোটটির সঙ্গে আলাদাভাবে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে হবে। এ চুক্তি নিয়ে এখনো যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে। আগামী সপ্তাহেই ব্রেক্সিট আলোচনার একটি ইতিবাচক ফল দেখা যেতে পারে বলে আশা করছেন অনেকে। আবার যেকোনো সময় এ আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।