যারা কাজ করতে চায় তারা সময় বের করে নেয় শত ব্যস্ততায় আর যে না চায় তার সময় কেটে যায় হাজার বাহানায়।
এই অতিমারির সময়ে কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের দায়িত্বে এসেছেন ডঃ খলিলুর রহমান। কোভিড নিয়ম বিধির মধ্যে থেকেই তিনি যোগাযোগ রেখেছেন, বাংলাদেশি অভিবাসী যারা, বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন প্রতিদিন। তাঁর এই জনবান্ধব সূলভ পদক্ষেপকে সম্মান জানিয়ে ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৫টায় নব নিযুক্ত হাইকমিশনারকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল পরিচিতি সভার আয়োজন করে ‘কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদ’।

সভার শুরুতে কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আমিন মিয়া আমন্ত্রিত অতিথি মাননীয় হাইকমিশনার ডঃ খলিল রহমানকে অভিবাদন জানিয়ে পরিষদের সম্পাদক ফারহানা শান্তাকে ভার্চুয়াল সভা পরিচালনা করার অনুরোধ জানান।

সঞ্চালক বঙ্গবন্ধু পরিষদ কানাডার কার্যকরী পরিষদের সকল সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন। নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন একে একে হিমাদ্রী রয়, নওশের আলী, মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস মিয়া, নুসরার জাহান চৌধুরী, নিরঞ্জন দাস, লিটন কাজী, গৌতম সিকদার, হাসিনা বেগম, ড. বাদল ঘোষ, আসমা বেগম, মনির বাবুসহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত সকলের অনুভূতির তরজমা ছিল বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে মহামান্য আদালতের রায় বাস্তবায়ন করা। একেই সঙ্গে প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশের লুটেরা দুর্নীতিবাজেরা যারা কানাডায় অভয়ারণ্য গড়ছেন তাদের বিষয়ে খতিয়ে দেখার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে আনা।

নবনিযুক্ত হাইকমিশনার ডঃ খলিলুর রহমান প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলেন, ঘাতক নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার সকল রকম ক‚টনৈতিক ও আইনি প্রক্রিয়া জোর অব্যাহত রাখবেন এবং এ বিষয়ে কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ কানাডায় বসবাসকারী মুক্তিযুদ্ধ পক্ষের প্রতিটি বাঙালির সহযোগিতা চেয়েছেন।

হাইকমিশনের সাথে বাংলাদেশী অভিবাসীদের দূরত্ব কমিয়ে আনতে তিনি তার ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ও ইমেইল সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছেন। পেশাদারিত্বের উপরে তাঁর পরিচয় তিনি একজন মানুষ, একজন দেশপ্রেমিক বাংলাদেশি এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে তার সেবার মান দেশপ্রেমিক প্রতিটি বাংলাদেশী মানুষের কাছাকাছি নিয়ে আসতে চান।
হাইকমিশনারের এমন বক্তব্যে সভায় যোগদানকারী অনেকের জমাট বরফ গলে নদী হয় এবং এর জলে অবগাহন করে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সকল সদস্য তৃপ্ত হন।

পরিশেষে কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আমিন মিয়া, সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন। একজন জনবান্ধব রাষ্ট্রদূত উপহার দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সম্মানিত অতিথি ডঃ খলিল রহমান এর সফল কর্ম জীবন, দীর্ঘজীবন ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে এবং কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সকল উপস্থিত সদস্যদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
হিমাদ্রী রয়, টরন্টো