অনলাইন ডেস্ক : করোনার থমথমে পরিবেশে গত ২৪শে মে, সোমবার কানাডায় ভিক্টোরিয়া ডে উদযাপিত হয়েছে। কানাডায় বছরের ২৫শে মে’র পূর্বের সোমবার এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। এই দিনটি রাষ্ট্রীয় ছুটির দিন। এই দিন উদযাপনের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন ব্রিটিশ মহারানী ভিক্টোরিয়াকে স্মরণ করা হয়, ঠিক তেমনি অপরদিকে এই দিনের মধ্যদিয়ে জানিয়ে দেয়া হয় কানাডার দীর্ঘ কয়েক মাসের প্রচণ্ড শীতের বিদায়ের পর গ্রীষ্মের আগমন ঘটেছে। কানাডায় প্রথাগতভাবে এই দিনে চারিদিকে ‘ফায়ার ওয়ার্ক’ এর শব্দ মানুষকে জানিয়ে দেয় এক নতুন সময়ের আনন্দ। ভিক্টোরিয়া ডে মানে কানাডার জনগণের কাছে উষ্ণ আবহাওয়া আর সবুজ প্রকৃতির পদধ্বনি।

১৮৪৫ সাল থেকে কানাডায় মহারানী ভিক্টোরিয়ার জন্মদিনকে স্মরণ করে ২৫শে মে এই দিনটি উদযাপিত হয়ে আসলেও ১৯৫২ সাল থেকে ২৫শে মে’র পূর্বের সোমবারে এই দিনটি উদযাপিত হয়ে আসছে। এর প্রধানতম কারণ হচ্ছে, কানাডার জনগণ যাতে স্বাভাবিক শনি ও রবিবারের ছুটির সাথে মিলিয়ে সোমবারের ছুটি ভোগ করতে পারে এবং নিজেদেরকে আনন্দে মাতিয়ে রাখতে পারে।

কানাডার ইতিহাসে মহারানী ভিক্টোরিয়ার বিশেষ গুরুত্বের আসনে থাকার প্রধানতম কারণ হচ্ছে, ১৮৬৭ সালে কানাডার স্বাধীনতা লাভের সময় তিনি ছিলেন গ্রেট বৃটেনের রানী এবং তিনিই কানাডাকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীন দেশের মর্যাদা দেন। উল্লেখ্য, কানাডা স্বাধীন দেশের মর্যাদা পেলেও স্বাধীনতার পর থেকে এখনও বৃটেনের রাজা বা রানী কানাডার রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সম্মানীত হয়ে থাকেন। মহারানী ভিক্টোরিয়া ১৮১৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৩৭ সাল থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬৩ বছর গ্রেট বৃটেন ও ব্রিটিশ ঔপনিবেশের সকল দেশের রানী হিসেবে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন।