অনলাইন ডেস্ক : সা¤প্রতিক মাসগুলোতে কানাডায় করোনার টিকার মজুদ রেকর্ড ৪ মিলিয়ন ডোজ ছাড়িয়ে গেছে। সংবাদ মাধ্যমগুলোর তথ্য অনুসারে ফেডারেল সরকারের বর্তমান টিকার মজুদ প্রত্যাশার চাইতে প্রায় ৩ গুণ বেশি। বিষয়টির সমালোচনা করে অনেকে বলছেন, বিশ্বের অনেক গরিব দেশ যেখানে টিকা পাচ্ছে না, সেখানে কানাডায় এতো অধিক সংখ্যক টিকা মজুদ রাখা মোটেও উচিত হচ্ছে না। ইতোমধ্যে কানাডায় অনেক টিকা নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। ফেলে দেয়া এসব টিকার বেশির ভাগই মেয়াদ উত্তীর্ণ।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারের চিকিৎসা নীতি ও পরামর্শক বিষয়ক কমিটির কর্মকর্তা এডাম হাউসটন বলেন, কানাডার টিকার মজুদের সংখ্যা টিকার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সমতার নীতির পরিপন্থী। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে এ বিষয়ে আরো ‘স্বচ্ছতা’ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ইউরোপ-আমেরিকায় নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিস্তারের ফলে টিকার বুস্টার ডোজ দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। প্রথমে ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেয়ার কথা বলা হলেও এখন ১৮ বছরের বেশি সবাইকে তা দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এতে বিপুল পরিমাণ টিকার প্রয়োজন হবে। তাই পর্যাপ্ত মজুদ রাখা হচ্ছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
হাউসটন বলেন, করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে শুধু নিজেদের সুরক্ষার কথা ভাবলেই চলবে না। নিজেদের পাশাপাশি অন্যদেরও সুরক্ষিত করতে হবে। কেননা আমরা সবাই জানি এটি খুবই সংক্রমক একটি ভাইরাস। তাছাড়া ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি অন্যদের তুলনায় বেশি সংক্রমক।
তিনি ফেডারেল সরকারের প্রতিশ্রুত ১০ মিলিয়ন জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দ্রæত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পাঠানোর ব্যবস্থা করার দাবি জানান। সূত্র : সিবিসি