অনলাইন ডেস্ক : কুইবেকে টিকা না নেওয়া শতশত স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা নেয়ার জন্য আরো ১ মাস সময় দেয়া হয়েছে। গত ১৫ অক্টোবর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সব স্বাস্থ্যকর্মীকে অবশ্যই করোনার টিকা নিতে হবে। এই সময়সীমা আর কোনো অবস্থাতেই বাড়ানো হবে না।

স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা না নেয়ার বিষয়টি প্রাদেশিক সরকার ‘কোনো অবস্থাতেই সমর্থনযোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করে বলেছে, ‘তারা তাদের পেশার প্রতি অসম্মান দেখাচ্ছে। এ ধরনের অপেশাদার সুলভ আচরন কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে যারা টিকা গ্রহণ করবে না তাদেরকে অবশ্যই এর জন্য মূল্য দিতে হবে। কুইবেকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান দুবে বলেন, ১৫ নভেম্বরের পর আর সুযোগ দেওয়া হবে না। এই সময়ের মধ্যে যারা ভ্যাকসিনেটেড না হবেন তাদেরকে বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

মন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন। নার্স এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ বলেছেন, করোনা মহামারির মোকাবেলায় সম্মুখ সারির যোদ্ধা হয়েও স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা গ্রহণ না করাটা অযৌক্তিক।

কুইবেকের ন্যাশনাল এসেম্বলির বিরোধী সদস্যরাও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে ‘স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, আরো আগেই সরকারের এ বিষয়ে কঠোর হওয়া উচিত ছিল। স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশ্লেষক ও সমালোচক ভিনসেন্ট মার্শাল বলেন, টিকা গ্রহণের শেষ সময়সীমা আরেক দফা বাড়িয়ে সরকার এই বিষয়ে নিজের পরিকল্পনা হীনতা, সমন্বয়হীনতা, ও দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। জনগণের বিশ্বাস অর্জনের জন্য সরকারকে এখন ১৫ নভেম্বরের সিদ্ধান্তে অটল থাকা উচিত। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুবে বলেন, এক মাস পর পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হবে বলে তিনি আশাবাদী। গত আগস্ট পর্যন্ত ৪৫ হাজার হেলথ কেয়ার ওয়ার্কার টিকার বাইরে ছিল। এই সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। তবে ভ্যাকসিন বিরোধীরা বলছে যারা টীকা নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে একমাসের মধ্যে তাদের মন মানসিকতা পরিবর্তন হবে এমনটা ভাবা ঠিক না। টিকা না নেয়া নার্স শান্তা হোবার্ট যেমনটা বলছিলেন। তিনি বলেন, করোনার টিকা নেয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আমি আরো কয়েক বছর অপেক্ষা করব, তবুও এই মুহূর্তে টিকা নেব না। সূত্র : সিবিসি