অনলাইন ডেস্ক : গত এক বছরে কানাডায় গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে জন-জীবনে ব্যাপক বিরূপ প্রভাব পড়েছে। মুদ্রাস্ফীতির জন্য গ্যাসোলিনের মূল্যবৃদ্ধি একটি প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে অর্থ সাশ্রয়ের জন্য ক্রেডিট কার্ডে গ্যাসোলিন ক্রয়সহ বিভিন্ন ‘অফারের’ সুবিধা নিচ্ছে। এর ফলে গ্যাসোলিনের খুচরা বিক্রেতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কুইবেকে প্রায় প্রতি ৩টি গ্যাসোলিন আউটলেটের একটি শেল বা এসসোর মতো বড় ব্রান্ডের সাথে সংযুক্ত। এই আউটলেটগুলো থেকে ক্রেতারা দামে ছাড় পেয়ে থাকেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি লিটারে সাধারণত ২ থেকে ৪ সেন্ট ছাড় দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে তাদের ডিস্ট্রিবিউটরদের সাথে চুক্তি আছে, যাদের কাছে পর্যাপ্ত জ্বলানী জমা থাকে। এক্ষেত্রে সাধারণত সরবরাহকারীদের দ্বারা মূল্য নির্ধারিত হয়।
অনেক গ্রাহক তাদের ক্রেডিট কার্ড দিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন। এটি যত বেশি মর্যাদাপূর্ণ, তত বেশি পয়েন্ট অফার করে এবং ব্যবসায়ীদের জন্য তত বেশি ব্যয়বহুল হয়ে দেখা দেয়। মাস্টার কার্ড এবং ভিসা কার্ডে যত বেশি লেনদেন হবে গ্যাস স্টেশন মালিকদের তত বেশি ফি প্রদান করতে হয়। অর্থাৎ লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের ফির পরিমাণও বাড়ে।
হেরনোইসের অ্যাল এসাম্পশনের মালিক সাইমন লেগে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, আমাদের ক্ষতির দিকটি গণনা করা খুবই সহজ। যদি প্রতি লিটারে আমাদের কমিশন রেট হয় ২ সেন্ট আর ক্রেডিট কার্ড ফি দিতে হয় ২%, তাহলে এগুলোর জন্য আমাদের পকেট থেকে অর্থ ব্যয় করতে হয়। প্রকৃত পক্ষে প্রতি লিটারে ২ ডলারের বেশিতে ২% মানে কমপক্ষে ৪ সেন্টের সমতুল্য।
মন্ট্রিল এলাকার বেশ কয়েকটি গ্যাসোলিন চালিত দোকানের মালিক আন্দ্রে ফরগেট বলেন, তিনি আর খরচের বোঝা বহন করতে পারছেন না। তিনি বলেন, আমার একটি স্টেশনে, আমার ক্রেডিট কার্ডের চার্জ বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এর কোন মানে হয় না। এটি আমার ট্যাক্স বিল ও ভাড়ার সমন্বিত খরচের চেয়েও বেশি।
তবে কাউচ-ট্রেডের মতো কর্পোরেট খুচরা বিক্রেতাদের জন্য সমস্যাটি তুলনামূলকভাবে কম। তার পরও কানাডিয়ান ফেডারেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিজনেসের (সি এফ আই বি) প্রাদেশিক বিষয়ক পরিচালক ফ্রান্সি বেরুবে ক্রেডিট ককার্ডের ফির বিষয়টি সমন্বয় করার জন্য ফেডারেল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র : রেডিও কানাডা