অনলাইন ডেস্ক : গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণে ২০২০ সালের জন্য ট্রুডো সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। এক্ষেত্রে গত তিন দশক ধরে ফেডারেল সরকারের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। যদিও কাগজে-কলমে ২০২০ সালের সঠিক হিসাব পাওয়া যাবে আগামী বছর অর্থাত ২০২২ সালে। কানাডা জলবায়ু দূষণের প্রকৃত হিসাব পাওয়া যায় দুই বছর পর। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২০ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে মনে করছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
করোনা মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী দূষন সামযয়িকভাবে কিছুটা কমলেও কানাডা তার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে। মহামারির কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন, স্টে অ্যাট হোম অথবা কারফিউ জারি করায় ২০২০ সালে সেসব দেশে ও যানবাহন চলাচল সীমিত ছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পরিবেশ দূষণের মাত্রাও ছিল কম। কানাডার বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের দেয়া হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে ২০২০ সালে দূষণের মাত্রা আগের বছরের তুলনায় ১১% থেকে ১৩% কম ছিল। তবে এই হার ট্রুডো প্রশাসনের নির্ধারিত হারের চেয়ে অনেক কম। এছাড়া কানাডার দূষণ হ্রাসের মাত্রা বৈশ্বিক দূষণ হ্রাসের মাত্রার অর্ধেক। অর্থাত কানাডায় যে হার ১৩% সেখানে বৈশ্বিক হার প্রায় ২৬%।
২০২০ সালে সরকারের টার্গেট ছিল ৬৩৫ মিলিয়ন টন গ্যাস নির্গমন করা। কিন্তু প্রাথমিক হিসেবেই তা ২২ মিলিয়ন টন বেশি হয়েছে। ২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসার পর বার্ষিক গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমনের বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ৭ মিলিয়ন টন। ২০১৯ সালে এই পরিমাণ ছিল ৭৩০ মিলিয়ন টন। ১৯৯০ সালের হিসেবের সাথে তুলনা করলে এই বৃদ্ধির হার প্রায় ২১.৩%। সে সময় গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ ছিল ১২৮ মিলিয়ন টন,যার ৭০%ই হত যানবাহনের কারণে।
২০২০ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে সরকার এখন বলছে ২০৩০ সালের মধ্যে তারা ২০০৫ সালের তুলনায় ৪৫% দূষণ কমাবে। এই লক্ষ্য অর্জনে তহবিল গঠনের জন্য কার্বন নির্গমণ ট্র্যাক্স প্রতিটনে ৪০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৭০ ডলার করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সরকার আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে ২০৫০ সালে কানাডায় কার্বন নির্গমণের মাত্রা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনবে। সূত্র : টরন্টো সান