Home আন্তর্জাতিক ট্রাম্পের ঝুঁকিপূর্ণ বাণিজ্য নীতি, বৈশ্বিক প্রভাব হারাবে যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্পের ঝুঁকিপূর্ণ বাণিজ্য নীতি, বৈশ্বিক প্রভাব হারাবে যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা ফার্স্ট নীতি চীনের সামরিক কুচকাওয়াজ এবং রাশিয়া ও ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক যোগাযোগ জোরদার করতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে ট্রাম্পের একচেটিয়া বাণিজ্য নীতি বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে বলে মত তাদের। কেননা চীনের এবারের সামরিক কুচকাওয়াজ ইতিহাসের অন্যন্য এক মুহূর্তে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের।

তিনি বলেন, বিশ্বের মানুষ আজ যুদ্ধ অথবা শান্তি- যেকোনো একটিকে বেছে নেয়ার মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছে। এক্ষেত্রে চীন ইতিহাসের সঠিক পথেই আছে।

বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, বুধবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীন এক বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করে। অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে চীন বিশ্বকে স্পষ্ট বার্তা দেয় যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের একক আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করে একটি নতুন ক্ষমতার কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। ট্রাম্প এই কুচকাওয়াজকে খুব, খুব চিত্তাকর্ষক বললেও, তিনি রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার নেতাদের সঙ্গে চীনের এই ঘনিষ্ঠতাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক নীতির কারণে চীন, রাশিয়া ও ভারতের মতো দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলস্বরূপ সম্প্রতি তিয়ানজিনে শি জিনপিং, ভ্লাদিমির পুতিন ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে এক অর্থনৈতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠক ইঙ্গিত দেয় যে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি এই দেশগুলোকে কাছাকাছি আসতে সাহায্য করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক প্রভাবকে দুর্বল করতে পারে।

ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো মার্কিন বিচার বিভাগের আইনি রায়। একটি আপিল আদালত সম্প্রতি ঘোষণা করে যে তার আরোপিত অনেক শুল্ক ফেডারেল আইনের ভুল ব্যাখ্যার উপর ভিত্তি করে ছিল। ট্রাম্প এই রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করার কথা বলেছেন। তবে, সুপ্রিম কোর্টের রায় তার বিপক্ষে গেলে তার পুরো বাণিজ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে, যার ফলে তার উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ নীতি কোনো ইতিবাচক ফল ছাড়াই শেষ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সামগ্রিকভাবে, ট্রাম্পের আমেরিকা ফার্স্ট নীতি একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী কৌশল হলেও এর বিপদগুলো বাস্তব এবং দৃশ্যমান। এটি একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক জোটের বিন্যাস পরিবর্তন করছে, তেমনি দেশের অভ্যন্তরেও আইনি বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।

Exit mobile version