দক্ষিণ সুদানের নারীদের স্বাবলম্বী করছেন বাংলাদেশি সেনারা

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>অনলাইন ডেস্ক &colon;<&sol;strong> দক্ষিণ সুদানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওয়াউ শহরের ১৩ নারী এখন স্বাবলম্বী হওয়ার পথে। কীভাবে কাপড় কাটতে হয়&comma; ডিজাইন করতে হয় কিংবা সেলাই করতে হয়&comma; দেশটিতে জাতিসংঘের মিশন পরিচালিত মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় শিখেছেন তারা।<&sol;p>&NewLine;<p>গৃহযুদ্ধ ও সংঘাতকবলিত দেশটির দারিদ্র্যপীড়িত এসব নারীকে কর্মমূখী প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজটি করা হচ্ছে&comma; দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত বাংলাদেশের নারী সেনা সদস্যদের মাধ্যমে। এ জন্য প্রশংসাও কুড়াচ্ছেন তারা।<&sol;p>&NewLine;<p>প্রশিক্ষণ নেওয়া নারীরা ওয়েস্টার্ন বাহর আল গজল প্রদেশের বাসিন্দা। সরকারের লিঙ্গ&comma; শিশু ও সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এসব নারীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তারপর তাদের একত্রিত করে দেওয়া হয়েছে সেলাইয়ের কাজের প্রশিক্ষণ।<&sol;p>&NewLine;<p>প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য নারীদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে একটি বিষয়ে। সেটি হলো দরিদ্রকবলিত এই দেশটির যেসব নারী সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও যাদের দিনযাপনের জন্য ন্যূনতম আয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই।<&sol;p>&NewLine;<p>এসব নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সেনাদের একজন বাংলাদেশি সেনা খাশিয়া মারমার বলছেন&comma; &OpenCurlyQuote;শন্তিরক্ষী হিসেবে যখন আমাকে এ এলাকায় পাঠানো হয় তখনই আমি দেখি এখানকার অনেক একাকী মা গৃহযুদ্ধে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন।’<&sol;p>&NewLine;<p>জাতিসংঘ মিশনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেওয়া নারীদের একজন ৩০ বছর বয়সী জাস্টিনা নাসের। দুই সন্তানের এই জননী বলছেন&comma; ‌&OpenCurlyQuote;আমি চা বিক্রি করতাম। তাতে চলতো না। তারপর জাতিসংঘ মিশনের মাধ্যমে কাপড় সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছি।’<&sol;p>&NewLine;<p>তিনি আরও বলেন&comma; &OpenCurlyQuote;কাপড় কাটা&comma; সেলাই ও ডিজাইনের প্রশিক্ষণ পাওয়ায় আমার আয় কিছুটা হলেও বাড়বে। আর এটা করে আমি আমার বাচ্চাদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারবো। এখন আমি আর আমার স্বামী যা করতে হিমশিম খাচ্ছি।’<&sol;p>&NewLine;<p>ওয়াউয়ের নারী সংগঠনের সদস্য অ্যাঞ্জেলিনা পলও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন। তিনিও কাপড় সেলাইয়ের কাজ শিখেছেন। এখন তিনি আশাবাদী&comma; তার মাধ্যমে সংগঠনের অন্য সদস্যরাও এসব দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।<&sol;p>&NewLine;<p>প্রদেশটির লিঙ্গ&comma; শিশু ও সমাজসেবা বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস্টিনা আলি বিশ্বাস করেন&comma; দেশের মানুষ বিশেষ করে নারীদের কর্মমূখী শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে লিঙ্গসমতাভিত্তিক একটি কর্মীবাহিনী গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এতে উজ্জ্বল হবে দেশের ভবিষ্যৎ।<&sol;p>&NewLine;<p>অ্যাঞ্জেলিনা পল বলেন&comma; &OpenCurlyQuote;সংগঠনের পক্ষ থেকেই আমাকে ওই প্রশিক্ষণ নিতে পাঠানো হয়েছিল&comma; যাতে আমি শেখার পর অন্য সদস্যদের তা শেখাতে পারি। এর ফলে আমাদের সব সদস্যের কর্মসংস্থান হবে। এতে আমরা সবাই উপকৃত হবো।’<&sol;p>&NewLine;<p>প্রদেশটির লিঙ্গ&comma; শিশু ও সমাজসেবা বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস্টিনা আলি বিশ্বাস করেন&comma; দেশের মানুষ বিশেষ করে নারীদের কর্মমূখী শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে লিঙ্গসমতাভিত্তিক একটি কর্মীবাহিনী গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এতে উজ্জ্বল হবে দেশের ভবিষ্যৎ।<&sol;p>&NewLine;<p>প্রশিক্ষণ নেওয়া নারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন&comma; &OpenCurlyQuote;আগে নারী টেইলর পাওয়া ছিল বিরল। কিন্তু সময় এখন বদলেছে। আমি আপনাদের এটা গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এতে আপনাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।’<&sol;p>&NewLine;<p>এসব নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সেনাদের একজন বাংলাদেশি সেনা খাশিয়া মারমার বলছেন&comma; &OpenCurlyQuote;শন্তিরক্ষী হিসেবে যখন আমাকে এ এলাকায় পাঠানো হয় তখনই আমি দেখি এখানকার অনেক একাকী মা গৃহযুদ্ধে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন।’<&sol;p>&NewLine;<p>তিনি বলেন&comma; &OpenCurlyQuote;আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম&comma; এসব নারীর দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কাজের সুযোগ করে দেওয়াই হবে আমাদের প্রথম দায়িত্ব। তাহলে তারা প্রত্যেকদিনের জীবিকা অর্জন করে দিনযাপন করতে পারবেন এবং সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ তৈরি হবে তাদের।’<&sol;p>&NewLine;