অনলাইন ডেস্ক : কানাডায় নতুন করে বাড়ছে করোনা রোগি। সেই সাথে বাড়ে মৃত্যু। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার লকডাউনসহ বিভিন্ন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু আগের দফায় লকডাউনের ধকল না সামলাতেই নতুন লকডাউনের ঘোষণায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিপাকে পরেছেন। অন্টারিওর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, সরকারের ঘরে থাকার নিদেৃশনায় আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের বেঁচে থাকা কঠিন হবে।
করোনা রোগির সংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে অন্টারিও প্রশাসন জনসাধারণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য নির্দেশ জারি করেছে। নির্দেশে বলা হয়েছে। কেবল মাত্র চিকিৎসা সেবা ও অন্য কোনো অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না।
এধরনের কঠোর নির্দেশনার ফলে বিপাকে পড়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়িীরা। কানাডিয়ান ফেডারেল ঃঅব ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিজনেসের অন্টারিও অঞ্চলের পরিচালক রায়ান ম্যালগ তার ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আগে থেকেই আমাদের মধ্যে হতাশা ছিল। এখন ওই হতাশাকে আরো উস্কে দেয়া হলো। একটি আইসক্রিম উৎপাদন ও বিপননের সাথে জড়িত ব্যবসায়ী লিজ থক বলেন লকডাউনের ঘোষণার ফলে আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের পথে বসতে হবে। লাভ করা দূরে থাকুক, কর্মচারিদের বেতন দেয়ার মতো অর্থও যদি আয় না করতে পারি তবে কীভাবে মাসের পর মাস টিকে থাকব।
বিরোধী কনজারভেটিভ দল সরকারের সমালোচনা করেছে, এই পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের যে পরিমাণ সহায়তা দেয়া দরকার সরকার তার কিছুই করছে না। সেলুন ব্যবসায়ী পলাত গায়তি বলেন, গত নভেম্বর থেকে তার দোকান বন্ধ। এভাবে চলতে তাকলে এক সময জমানো অর্থ সব শেষ হয়ে যাবে। তখন অবস্থা কী হবে তা ভাবতেই শরীর হীম হয়ে আসে। তিনি বলেন, সেলুন, জিমনে সিয়াম বা বিউটি পার্লার এগুলোর বেশিরভাগেই সাথে মহিলারা জড়িত। তাদের আয় রোজগার এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ থাকলে পরিস্থিতি খুবই জটিল হবে। সরকারের উচিত এদিকে বাড়ত নজর দেয়া। দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল: