ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকার উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>অনলাইন ডেস্ক &colon;<&sol;strong> প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন&comma; গ্রেনেড হামলা মামলায় দ-িতদের রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে দেশ থেকে হত্যা&comma; সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের চির অবসান হবে। বাংলাদেশ আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ-শান্তিপূর্ণ আবাসভূমিতে পরিণত হবে।<&sol;p>&NewLine;<p>প্রতিহিংসার রাজনীতি বাদ দিয়ে সরকার দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন&comma; &OpenCurlyQuote;আমরা সপরিবারে জাতির পিতা হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছি। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে দেশে শান্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’<&sol;p>&NewLine;<p>প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে আরো বলেন&comma;&OpenCurlyQuote;আমরা আজ আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি। রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’<&sol;p>&NewLine;<p>শেখ হাসিনা বলেন&comma; ২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন। ২০০৪ সালের এ দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা&comma; সার্বভৌমত্ব&comma; গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা এবং তাকে হত্যাসহ বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করে হত্যা&comma; ষড়যন্ত্র&comma; জঙ্গিবাদ&comma; সন্ত্রাস&comma; দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা।<&sol;p>&NewLine;<p>তিনি বলেন&comma; মহান আল্লাহতায়া’লার অশেষ রহমত ও জনগণের দোয়ায় তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীরা মানববর্ম তৈরি করে তাঁকে রক্ষা করেন। তবে সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড হামলায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভানেত্রী বেগম আইভি রহমানসহ ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী&comma; সাংবাদিক ও নিরাপত্তাকর্মী। অনেকে আজও পঙ্গুত্বের অভিশাপ বহন করছেন। অনেকে এখনও দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন। প্রধানমন্ত্রী ২১ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।<&sol;p>&NewLine;<p>শেখ হাসিনা বলেন&comma; এ নারকীয় হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচার করা ছিল সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার কোন পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো হত্যাকারীদের রক্ষায় সব ধরণের ব্যবস্থা করেছিল। হামলাকারীদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। গুরুত্বপূর্ণ সব আলামত ধ্বংস করে।<&sol;p>&NewLine;<p>তদন্তের নামে এই নৃশংস হত্যাকা-কে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে উল্লেখ করে তিনি বলেন&comma; রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে তারা জনগণকে ধোঁকা দিতে &OpenCurlyQuote;জজ মিয়া’ নাটক সাজায়। কিন্তু সত্য কখনও চাপা থাকেনি। পরবর্তীকালে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তে বেরিয়ে আসে বিএনপি-জামায়াত জোটের অনেক কুশীলব এ হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল।<&sol;p>&NewLine;<p>প্রধানমন্ত্রী বলেন&comma; দীর্ঘ ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় হয়। আদালত গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে বিএনপি নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর&comma; সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিদেশে পলাতক তারেক রহমান&comma; হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়।<&sol;p>&NewLine;<p>এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে ১১ আসামিকে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন&comma; এই রায়ের মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে&comma; জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন অপরাধ করার ধৃষ্টতা দেখাতে না পারে তা বন্ধ করা হয়েছে। &OpenCurlyQuote;আশা করি&comma; সকল আইনি বিধি-বিধান ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যত দ্রুত সম্ভব এই রায় কার্যকর করা হবে।’<&sol;p>&NewLine;<p>প্রধানমন্ত্রী বলেন&comma; বিএনপি-জামায়াত জোট যখনই সরকারে এসেছে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টা করেছে। বিএনপি-জামায়াতের সকল অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে জনগণ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় বিপুল ভোটে বিজয়ী করে।<&sol;p>&NewLine;<p>২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার গঠন করে মানুষের ভাগ্যেন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন&comma; &OpenCurlyQuote;গত সাড়ে ১১ বছরে দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাঙ্খিত অগ্রগতি অর্জন হয়েছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে &OpenCurlyQuote;রোল মডেল’। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।<&sol;p>&NewLine;<p>সূত্র &colon; বাসস<&sol;p>&NewLine;