অনলাইন ডেস্ক : কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তার সরকার সকল বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। সেজন্য লিবারেল সরকার শুরু থেকেই নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ কলম্বিয়াস্থ কামলুপস এলাকার পরিত্যক্ত এবং প্রাচীন একটি আবাসিক স্কুল থেকে ২১৫ শিশুর মৃতদেহের দেহাবশেষ উদ্ধার, অন্টারিস্থ লন্ডনে চার মুসলিম হত্যার নেতিবাচক ঘটনার পর কানাডার সুপ্রিম কোর্টে এক জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম এবং সংখ্যালঘু বিচারপতিকে নিয়োগ দিয়ে জাস্টিন বলেন, ‘কানাডার দেড় শ’ বছরের ইতিহাসে এটা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। কারণ, কানাডার ইতিহাসে এই প্রথম অশ্বেতাঙ্গ কোনো ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হলেন।’
দেশটির সুপ্রিম কোর্টের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম নিয়োগ পেলেন বিচারপতির নাম মাহমুদ জামাল। জামালের বাবা-মা ভারতীয়। তবে জামালের জন্ম হয়েছে নাইরোবিতে। পরে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান। সেখানেই পড়াশোনা করেন। যুক্তরাজ্য থেকে ক্যানাডায় যান জামাল।
তার এই নিয়োগর পর জাস্টিন বলেন, ‘এ ভাবেই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে তার সরকার।’
কানাডায় প্রতি চার জনে একজন অশ্বেতাঙ্গ। কৃষ্ণাঙ্গ অথবা এশিয়ার মানুষ। অথচ এতদিন ধরে সুপ্রিম কোর্টে একজনও সংখ্যালঘু বর্ণের বিচারপতি ছিলেন না।
এক বছর আগে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ট্রুডো বলেছিলেন, ‘বেড়ে চলা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সামাজিক সাম্য তৈরির চেষ্টা হবে। জামালের নিয়োগ তারই অন্যতম পদক্ষেপ বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।’