টরন্টো : বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবস উদযাপিত হলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। ড্যানফোর্থের স্থানীয় বাংলা সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল ‘যুদ্ধ থেকে বিজয়’। শুরুতেই ১৬ টি প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান আরম্ভ হয়। প্রদীপ প্রজ্বলনে সহযোগিতা করেন শারমীন শরিফ। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নাজমুল হোসেন মনাকে বাংলাদেশ সেন্টারের পক্ষে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ছোট্ট সোনামণি ফাইজা আলতাফ। মুক্তিযোদ্ধা মনা ধন্যবাদ জানিয়ে যুদ্ধদিনের একটি স্মৃতি রোমন্থন করে বাংলাদেশ সেন্টারকে ধন্যবাদ ও উপস্থিত সবাইকে বিজয়ের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
যুদ্ধের গল্প ও বিজয়ের আনন্দ স্মৃতির পর শুরু হয় শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে- বিজয় ও প্রবাসী প্রজন্ম। নাচ, গান ও ছড়ার এই পর্বে অংশগ্রহণ করে আদ্যাশ্রী সাহা, দীপাঞ্জলী দেবনাথ, আফসিন মেহনাজ ভূঁইয়া, ফাইজা আলতাফ, এলিনা চৌধুরী রাইনা, জাহরা হোসেইন, আর্দ্রিতা হোসেইন, মোহনা ও সায়র। এ পর্বটির কবিতা ও ছড়া লিখেছেন : কবি মৌ মধুবন্তী, মাশায়েখ হাসান, তাসনিমা আহমেদ, জনি হোসেন, তানজিম এ আল আমিন, আখতারুজ্জামান, অন্তু সরকার প্রণব ও শিফাত আহমেদ। পর্বটি গ্রন্থনা ও পরিচালনা করেন মৌ মধুবন্তী। এজন্য বাংলাদেশ সেন্টারের পক্ষ থেকে মৌ মধুবন্তীকে ফুল দিয়ে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান হাসিনা কাদের। এই পর্বের পর দায়িত্ব অর্পণের প্রতীকীস্বরূপ নতুন প্রজন্মের শিশু কিশোরদের হাতে পতাকা তুলে দেন শিক্ষাদিব ড. মোজাম্মেল হক খান ও লেখক তাসরিনা শিখা। এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ড. খান বলেন- বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই লাল সবুজের পতাকার যথাযথ মর্যাদা সমুজ্জ্বল রাখবে নতুন প্রজন্মের প্রত্যয়দীপ্ত সোনামণিরা।
নতুন প্রজন্মের হাতে পতাকা অর্পণের পর শুরু হয় – ‘জন্মেছি ৭১ এর দেশে’। দলীয় আবৃত্তির এই পর্বটিতে অংশগ্রহণ করেন নাসিমা বাহার ছন্দা দেবনাথ এবং মৌ মধুবন্তী। এই পর্বের কবিতা রচনা, গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ছিলেন কবি মৌ মধুবন্তী।
সবশেষ পর্ব ছিল গীতি নৃত্য কাব্য – বিজয় আলেখ্য -৭১। আবৃত্তি, ও গানের সমন্বয়ে এই পর্বটিতে অংশগ্রহণ করেন – মার্জিয়া আফরোজ মৌ, সুমন মালিক, চৈতন্য নাজমুল, মুনিরা সুলতানা মিলি ও ছন্দা দেবনাথ। নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন সীমা বড়ুয়া ও ডালিয়া আহমেদ। তবলায় সঙ্গত করেন শিল্পী মামুনুর রশীদ। বিজয় আলেখ্য -৭১ পর্বটি গ্রন্থনা করেন কবি দেলওয়ার এলাহী।
বাংলাদেশ সেন্টার আয়োজিত -‘আমাদের বিজয়’ শিরোনামের বিজয় দিবসের এই পুরো অনুষ্ঠানটির সমন্বয়, উপস্থাপনা ও পরিচালনা করেন সাইদা বারী।