সারারি জাফের কার্লটন ইউনিভার্সিটিতে তার প্রথম বর্ষে যাচ্ছে, কিন্তু মহামারী চলাকালীন তার উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতার সাথে কাজের চাপ এবং অধ্যাপকের প্রত্যাশা কিভাবে তুলনা করবে তা নিয়ে সে চিন্তিত

হাসান আমিন : অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরিয়েন্টেশন সপ্তাহ চলছে। তবে কিছু শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তিন বছরের অনলাইন স্কুল তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তরণের জন্য একাডেমিকভাবে প্রস্তুত না করায় তারা নার্ভাস।

অন্যান্য বেশিরভাগ নতুন সহপাঠীর মতো সারারি জাফর তার হাইস্কুল বছরের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন অনলাইন থেকে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রমে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। যা কখনো প্রাদেশিক লকডাউন বা স্কুলে কোভিড-১৯ সংক্রামনের উপর নির্ভরশীল ছিলো। মহামারীর আগে গ্রেড ৯-এ জাফর কেবল পূর্ণ শিক্ষাবর্ষ সম্পন্ন করতে পেরেছিলো।
জাফর বলেন, আমরা অনেক কিছুর অভিজ্ঞতা না পাওয়ায় এটা খুব কঠিন; বিশেষ করে আমাদের হাই স্কুলের শেষ বছরগুলোতে।

এখন সে উদ্বিগ্ন এই ভেবে যে, তার প্রধানত অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম তাকে কার্লটন ইউনিভার্সিটির ফার্মেসির শিক্ষার্থী হওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছে কিনা। জাফর অটোয়ার একটি হাই স্কুলে পড়ার সময় প্রতি সেমিস্টারেই অনলাইনে পরীক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু তিনি বলছিলেন, অনলাইনে পরীক্ষার অভিজ্ঞতা গ্রেড ৯-এ সশরীরে পরীক্ষায় তার যে সীমিত অভিজ্ঞতা হয়েছে তা পরিমাপ করেনা।

এমনকি মনে হয়নি যে আমরা পরীক্ষা দিচ্ছি। মনে হচ্ছিল আমরা শুধু একটি নিয়মিত কুইজ করছি, কারণ শিক্ষকরা জানতেন যে সব শিক্ষার্থী বিষয়টি সহজভাবে নেবে।” যদিও তার শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সমর্থন করার জন্য তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন, জাফর বলছিলেন যে তিনি এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কিছুটা কম প্রস্তুত বলে বোধ করছেন।

আমি মনে করি না বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজের চাপ একই রকম হবে, বলেন জাফর। তিনি আরও চিন্তিত এই ভেবে যে, মহামারীর সর্বোচ্চ খারাপ পরিস্থিতিতে তার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যে নম্রতা এবং শান্ত মনোভাব পোষণ করেছিলেন তা বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে অব্যাহত থাকবে না। এত কিছু সত্তে¡ও জাফর ক্যাম্পাসে এবং একটি ল্যাবে পড়াশোনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন।

অপর এক শিক্ষার্থী ওলগা প্রজুলজ বলেছেন, তারও একই রকম অনুভুতি হচ্ছে। ওলগা অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের প্রথম বর্ষে প্রবেশ করছেন। তার মধ্যে ভীতি এবং উত্তেজনা একই সাথে কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের চাপে উচ্চ গ্রেড ধরে রাখার বিষয়ে সে উদ্বিগ্ন।

আমরা সত্যিই আমাদের সব কোর্স বিস্তারিতভাবে অধ্যায়ন করিনি। আমরা কেবল মৌলিক বিষয়গুলো শিখেছি, যা আমি শিক্ষার সাথে আপস করার মতো মনে করি, বলেন তিনি।
ওলগা প্রজুলজ বলেন, কঠিন কোর্স এবং গ্রেডিংয়ের ভয়ে তিনি একা ভীত এমন নয়, তার অন্যান্য অনেক বন্ধুও একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রায় সব শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নিজের প্রস্তুতির ঘাটতির কথা জানিয়েছে। সূত্র : সিবিসি