সুহেল ইবনে ইসহাক, টরন্টো, কানাডা: সিটি অফ টরন্টোর সমস্ত নিয়মকানুন ও আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন, সপ্তাহের মধ্যেই টরন্টোর ডেন্টোনিয়া পার্কে স্থায়ী শহীদ মিনারের কাজ শুরু হবে। এ নিয়ে বাঙালি কমিউনিটিতে বিরাজ করছে আনন্দমুখর পরিবেশ। একুশে ফেব্রুয়ারি আজ সারা বিশ্বজুড়ে, আর একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা শহিদের প্রতি সম্মান জানানোর স্মৃতির মিনারই বাঙালির জাতিসত্তা পরিচয়ের প্রধান কেন্দ্র।

দীর্ঘ কয়েক বছর হতে টরন্টোতে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরী করে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদিত হচ্ছিলো। যেখানে প্রতি বছরই টরন্টো সিটি মেয়র, স্থানীয় ফেডারেল এম.পি, প্রভিন্সিয়াল এম.পি.পি, ওয়ার্ড কমিশনারসহ টরন্টোর বাঙালি ও অবাঙালিরা দিবসের প্রথম প্রহর অর্থাৎ রাত ১২টা ১ মিনিটে মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের সম্মান জানাতে এই অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। টরন্টো সিটির উপরোক্ত পদক্ষেপের কারণে একটি স্থায়ী শহীদ মিনারের খেদ গোছাতে যাচ্ছে টরন্টোর বাঙালিরা।

টরন্টো শহরেও অনেক মহৎপ্রাণ উদ্যমী মানুষের উদ্যোগে অস্থায়ী শহিদ মিনার, স্মৃতি সৌধ নির্মিত হয়েছে। তাঁরা বাঙালি জনগোষ্ঠীকে শহিদদের প্রতি সম্মান জানানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। এই সুযোগে তাঁদের সকলের প্রতি বাঙালি জনগোষ্ঠী শ্রদ্ধাবনত চিত্তে কৃতজ্ঞ। সময়ের পরিক্রমায় একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের তীব্র প্রয়োজনীয়তা অনুধাবিত হওয়ায় বাঙালি কমিউনিটির কিছু উদ্যোমী ব্যক্তিবর্গ টরন্টো শহরে স্থায়ী শহিদ মিনার প্রতিষ্ঠার কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করেন? এজন্য টরন্টোতে “অর্গানাইজেশন ফর টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাংগুয়েজে ডে মনুমেন্ট ইনক” গঠন করা হয়। এই সংগঠনটি দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবৎ টরন্টোতে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।“অর্গানাইজেশন ফর টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাংগুয়েজে ডে মনুমেন্ট ইনক”(ও.টি. আই.এম.এল.ডি.এম)’র প্রেসিডেন্ট ম্যাক আজাদ বাংলা কাগজের সাথে আলাপকালে জানান, “আমাদের পাঁচ বছরের পরিশ্রমের ফসল আজ স্বপ্ন পূরণের কাছাকাছি, আমার সবাই খুবই আনন্দিত। আমরা আশা প্রকাশ করছি, আগামী ভাষা দিবসে আমরা এই স্থায়ী শহীদ মিনারেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে সক্ষম হবো।”

বাঙালি কমিউনিটির অনেকেই স্থায়ী শহীদ মিনারের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন আগামী একুশে ফেব্রæয়ারিতে একসাথে, এককাতারে সবাই শহীদ মিনারে শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন।