Home অর্থনীতি সরকারি টাকায় যথেচ্ছ বিদেশ ভ্রমণ নয়

সরকারি টাকায় যথেচ্ছ বিদেশ ভ্রমণ নয়

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>অনলাইন ডেস্ক &colon;<&sol;strong> সরকারি&comma; আধা-সরকারি&comma; স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রতি অর্থবছর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয় দুই হাজার কোটি টাকা। এ অর্থ অনেক সময় অনেক প্রতিষ্ঠান যৌক্তিকভাবে খরচ করতে পারে না। সেজন্য কোনো এক ছুতোয় সরকারি টাকায় বিদেশ ভ্রমণ করেন প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু চলতি &lpar;২০২০-২১&rpar; অর্থবছর সেটি আর হচ্ছে না। কারণ সরকার এ অর্থবছর রুটিন ভ্রমণ পরিহারের নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে অপরিহার্য ক্ষেত্রেও সব ধরনের &lpar;দেশ-বিদেশ&rpar; ভ্রমণ ব্যয় অর্ধেক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে রোববার &lpar;১৯ জুলাই&rpar; একটি পরিপত্র জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব&comma; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়&comma; বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকসহ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবের কাছে পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।<&sol;p>&NewLine;<p>অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন&comma; বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের &lpar;কোভিড-১৯&rpar; কারণে থমকে গেছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। এর থাবায় দেশের রাজস্ব আহরণেও বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বিপরীতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যয় বেড়ে গেছে সরকারের। সরকার ব্যয় নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আগামী à§©à§§ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব সরকারি&comma; আধা-সরকারি&comma; স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে নতুন গাড়ি কেনায় সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এছাড়া চলতি অর্থবছর বাস্তবায়নাধীন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির &lpar;এডিপি&rpar; আওতায় নিম্ন অগ্রাধিকার বা কম গুরুত্বপূর্ণ এবং মধ্যম অগ্রাধিকারের উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ খরচ বন্ধেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ব্যয় নিয়ন্ত্রণের ধারাবাহিকতায় এবার রুটিন বিদেশ ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো।<&sol;p>&NewLine;<p>এ সংক্রান্ত পরিপত্রটিতে বলা হয়েছে&comma; করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সরকারের অগ্রাধিকার খাতসমূহে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে ২০২০-২১ অর্থবছরে সব সরকারি&comma; আধা-সরকারি&comma; স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে ভ্রমণ ব্যয় খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকার বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>&OpenCurlyQuote;সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে- শুধু জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় ভ্রমণখাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করা যাবে&comma; তবে সরকারি ভ্রমণের ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত অর্থের ৫০ শতাংশ বরাদ্দ স্থগিত থাকবে। অর্থাৎ অর্ধেক ব্যয় দেয়া হবে। পাশাপাশি সকল প্রকার রুটিন ভ্রমণ পরিহার করতে হবে।’<&sol;p>&NewLine;<p>এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয় পরিপত্রে।<&sol;p>&NewLine;<p>এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন&comma; রাজস্ব আদায়ের বর্তমান অবস্থা খুবই করুণ। সদ্যসমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে &lpar;সংশোধিত&rpar; জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছিল&comma; তার চেয়ে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা কম আহরিত হবে বলে জানা গেছে। তাই বাধ্য হয়ে ব্যয় নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটছে সরকার।<&sol;p>&NewLine;<p>তিনি আরও বলেন&comma; সব সরকারি&comma; আধা-সরকারি&comma; স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ বাবদ বরাদ্দ একত্র করে দেখা গেছে&comma; এর পরিমাণ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করে প্রায় অর্ধেক বা তারও বেশি অর্থাৎ এক হাজার কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় করা সম্ভব।<&sol;p>&NewLine;<p>এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড &lpar;এনবিআর&rpar; সূত্রে জানা গেছে&comma; করোনা মহামারিতে রাজস্ব আদায়ের নাজুক পরিস্থিতি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। সদ্যসমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত à§§à§§ মাসে মোট দুই লাখ ৬৪ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে এক লাখ ৮৮ হাজার à§«à§§à§© কোটি টাকা। এ সময়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আদায় হয়েছে প্রায় ৭৬ হাজার ২৫১ কোটি টাকা কম।<&sol;p>&NewLine;

Exit mobile version