Home কানাডা খবর ৮ম গ্রেডের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গর্ভপাত বিরোধী পোস্টার তৈরির প্রতিযোগিতায় মায়েরা ক্ষুব্ধ

৮ম গ্রেডের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গর্ভপাত বিরোধী পোস্টার তৈরির প্রতিযোগিতায় মায়েরা ক্ষুব্ধ

অনলাইন ডেস্ক : অন্টারিওর উডস্টকে একটি ক্যাথলিক স্কুলে ৮ম গ্রেডের শিক্ষাথীদের গর্ভপাত বিরোধী পোস্টার তৈরিতে বাধ্য করায় শিক্ষার্থীদের মায়েরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা এই পোস্টারগুলো থেকে বাছাই করে কিছু পোস্টার ‘রাইট টু লাইফ কোয়ালিশন’ প্রতিযোগিতায় পাঠাবেন। সেখানে বিজয়ী পোস্টারগুলোর জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

জানা গেছে, উডস্টকের সেন্ট প্যাট্রিক এলিমেন্টারি স্কুলের ৮ম গ্রেডের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় যাতে ‘আনবর্ন বেবিস ম্যাটার’ বিষয়ক গর্ভপাত বিরোধী থিমকে কাজে লাগিয়ে ছবি আঁকা বা পোস্টার তৈরি করতে বলা হয়। ক্লাসের অ্যাসাইনমেন্ট হিসাবে এটি করার কথা বলা হলেও স্থানীয় একটি এন্টি অ্যাবরশন গ্রæপ দ্বারা প্রতিযোগিতাটি পরিচালিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখন স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের তোপের মুখে পড়েছেন।

স্কুৃলের ছাত্রী কেডেন্সের (১৩) মা রেচেল লিন ডিক্সন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অভিভাবকদের আগে থেকে জানানো হয়নি। তারা (স্কুল কর্তৃপক্ষ) শিশুদের শুধু গর্ভপাতের সমস্যা সম্পর্কে শিক্ষা দিচ্ছে, অবৈধ মেলামেশা বা কমবয়সে গর্ভধারণে ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে কিছু বলছে না। যেন এই বিষয়গুলো খারাপ নয়, শুধু গর্ভপাতকেই খারাপ। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ক্যাথলিক স্কুল, কিন্তু এটি আমাদের মতো সাধারণ মানুষের অর্থ দ্বারা পরিচালিত হয়। এখানে শিশুদের কী শেখানো হচ্ছে তা জানার অধিকার আমাদের আছে। বিতর্কিত একটি বিষয় সম্পন্ন করার পর বাচ্চাদের কাছ থেকে সে সম্পর্কে অবগত হওয়াটা দুঃখজনক।’ তিনি বলেন, আমি চাই আমার মেয়ে তার নিজস্ব মতামত তৈরি করুক। এবং আমি জানি এই ধরনের ক্যাথলিক স্কুলগুলো শিশুদের ক্যাথলিক বিশ্বাস শেখায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে আমরা এমন একটা যুগে বাস করছি যেখানে নারীদের অধিকারের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি না যে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের না জানিয়ে শিশুদের দিয়ে কোন ভাল কাজ করিয়েছে।

ডিক্সন বলেন, চলতি শিক্ষাবর্ষ শেষে তিনি তার সন্তানদের এখান থেকে সরিয়ে অন্য কোন স্কুলে ভর্তি করানোর চেষ্টা করবেন। অন্য একজন অভিভাবকও একই রকম প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলেন, এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাটি স্কুল বা চার্চের সাথে সম্পর্কিত নয়। একটি বহিরাগত গোষ্টি দ্বারা এটি পরিচালিত হয়েছে এবং এতে অর্থের প্রলোভনও আছে। এ ধরনের একটি কর্মকান্ড কেমন করে শিশুদের অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে বাধ্যতামূলক করা হয় তা আমাদের বোধগম্য নয়। এটি বড়জোর একটি ঐচ্ছিক বিষয় হতে পারত।

এসব সমালোচনার জবাবে লন্ডন জেলা ক্যাথলিক স্কুলের মুখপাত্র মার্ক এডকিনসন বলেছেন, শিশুদেরকে ‘জীবনের পবিত্রতা’ শিক্ষা দেয়ার জন্য ধর্ম শিক্ষার পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। গত ২০ বছর ধরে অক্সফোর্ড কাউন্টি রাইট টু লাইফি গ্রুপ গর্ভপাত বিরোধী ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। তবে এবারই প্রথম একজন শিক্ষক এটিকে বাধ্যতামূলক অ্যাসাইনমেন্ট হিসাবে ব্যবহার করেছেন।

অভিভাবকদের অভিযোগ, তাদের এই বিষয়টি সম্পর্কে আগে জানানো হয়নি। এটি আপত্তিজনক। তারা বলেন, আমরা চাই আমাদের সন্তানেরা আমাদের সাথে সব বিষয়ে খোলামেলা কথা বলুক। স্কুলে গোপনে কোন বিষয়ে শিক্ষা দেয়ার প্রয়োজন নেই। সূত্র : সিবিসি

Exit mobile version