বাংলাদেশ হাইকমিশন, অটোয়া, কানাডা ৮ আগস্ট ২০২১ তারিখ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯১তম জন্ম বার্ষিকী পালন করে। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ পালন পূর্বক দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি হাইকমিশন চত্ত¡রে আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কানাডায় নিযুক্ত হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে এ দিবস উপলক্ষে ঢাকা থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মাহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী তিনটি অত্র মিশনের যথাক্রমে উপ-হাইকমিশনার, মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও কাউন্সেলর (বাণিজ্যিক) পাঠ করে শোনান। বাণী পাঠের পর বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।

দূতাবাসে কর্মরত কর্মকতাগণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় বক্তাগণ বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বক্তারা বঙ্গমাতাকে একজন মহীয়সী নারী হিসাবে বর্ণনা করে বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং সব সময় সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার কথা উল্লেখ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান শুরুতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এর কালো রাতে নিহত সকলের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বঙ্গমাতা ছিলেন একজন মহৎ হৃদয়ের অধিকারী। স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও বির্নিমানে তাঁর অসামান্য্য অবদান রয়েছে। বঙ্গমাতার জীবন ও আদর্শের উপর আরো গবেষণা হওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বঙ্গমাতার জীবন ও আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সকলকে জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।

সবশেষে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা, জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি