অনলাইন ডেস্ক : অন্টারিওর মহামারি উপদেষ্টা টেবিলের প্রধান বলেছেন, যখন প্রদেশের মূল সূচকগুলো করোনা পরিস্থিতির উন্নতির আভাস দিচ্ছে তখন তিনি উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন এলাকা ও স্থাপনাগুলোতে আরো কিছু দিন বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের নিয়ম চালু রাখা উচিত বলে মনে করছেন। বুধবার প্রদেশের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ঘোষণা করেছেন, ট্রানজিট ও হাসপাতালসহ বেশির ভাগ এলাকায় বাধ্যতামূলক মাস্কের নিয়ম শনিবারের পর আর থাকছে না। তবে লংটার্ম কেয়ার ও অবসর হোমগুলোতে শনিবারের পরও মাস্কিং প্রয়োজন হবে।

তবে অন্টারিওর কোভিড-১৯ বিজ্ঞান উপদেষ্টা টেবিলের নতুন বৈজ্ঞানিক পরিচালক ডা. ফাহাদ রাজাক সিবিসি রেডিও মেট্রো মর্নিং কে বলেছেন, হাসপাতালগুলোতে মাস্কিং নিয়ম আরো চার সপ্তাহ বাড়ানো যেতে পারে। এটি করোনা পরিস্থিতিকে আরো উন্নত করার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। তিনি বাধ্যবাধকতা না থাকলেও নিজস্ব নিয়মে হাসপাতালে মাস্ক চালু রাখার পরামর্শ দেন। রাজাজ বলেন, ‘সরকার বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়ার পরও অনেক হাসপাতাল ঘোষণা দিয়েছে যে তারা মাস্ক চালু রাখবে। এটি সত্যিই আননন্দের খবর। আমার মনে হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেই এটির প্রয়োজন হবে।’

রাজাক যিনি ইউনিটি হেলথ টরন্টোর একজন ইন্টারনিস্টও তিনি আরো বলেন, বর্জ্য তরলের ডাটা সংখ্যাসহ সব মূল সূচকগুলো ইতিবাচক চিত্র প্রদর্শন করায় ধরে নেয়া যায় পরিস্থিতির উুন্নতি হচ্ছে। তবে এখনো হাসপাতালে প্রচুর চাপ রয়েছে। তাই আমিসহ স্বাস্থ্য সেবা খাতের অনেক বিশিষজ্ঞ মনে করছি যে মাস্কিং ম্যান্ডেটের বিষয়টি আরো কিছুদিন ধরে রাখা উচিত ছিল। এমনটা হলে স্বাস্থ্যসেবায় জড়িতরা অনেক উপকৃত হত। মাস্কিং তুলে নেয়ার বিষয়ে প্রদেশের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কিরন মুর বলেছেন, তিনি উচ্চ টিকা দেয়ার হার দেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাবলিক ট্রানজিট, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, লংটার্ম হোম ও অবসর হোমের মতো এলাকাগুলোতে ২৭ এপ্রিল মুখোশের প্রয়োজনীয়তা শেষ হবার কথা ছিল। পরে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তা ১১ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার অন্টারিও তে ৫৪৯ জন করোনা রোগি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং এদের মধ্যে ১০ জন মারা গেছে। ওই ১০ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে প্রদেশটিতে মহামারিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ হাজার ৩১৪ জনে। সূত্র : সিবিসি