অনলাইন ডেস্ক : অন্টারিওতে ৭০ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ এই মুহূর্তে আতঙ্কিত এই ভেবে যে, বর্তমান সরকার তাদের এমন একটি প্রতিষ্ঠানে থাকতে বাধ্য করতে পারে যা এমনকি তাদের নিজস্ব সমাজের মধ্যেও নেই। মূলত প্রদেশের হাসপাতালগুলোকে রোগীদের পছন্দ নয় এমন দীর্ঘমেয়াদী পরিচর্যা হোমে পাঠানোর অনুমতি দেয়ার জন্য অন্টারিওর নেয়া পদক্ষেপে প্রবীন এবং পর্যবেক্ষকরা আতঙ্কিত ও প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ।

এডভোকেসি গ্রিপ সিনিয়রস ফর সোশ্যাল অ্যাকশন অন্টারিওর সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্যাট্রিসিয়া স্পিন্ডেল বলেন, তিনি হাসপাতালে পাঠানোর ভয়ে আতঙ্কিত থাকেন এবং পরে তার পরিবার থেকে দূরে একটি বাড়িতে চলে যান। ৭৪ বছর বয়সী যে কারো জন্য এটি অত্যন্ত বিরক্তিকর, তিনি বলছিলেন।

হাসপাতালের উপর চাপ কমানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে প্রদেশটি গত বৃহস্পতিবার আইন প্রবর্তন করেছে। যাতে দীর্ঘমেয়াদী পরিচর্যা শয্যার জন্য অপেক্ষামান রোগীদের তাদের পছন্দের নয় এমন একটি নার্সিং হোমে পাঠাতে সক্ষম হয়। কেননা তারা তাদের পছন্দের নার্সিং হোমের জন্য অপেক্ষা করতেই থাকেন।

দীর্ঘমেয়াদী পরিচর্যা মন্ত্রী পল ক্যালান্দ্রা বলেছেন, এ আইনটি হাসপাতালে অবস্থান করছেন এমন ব্যক্তিদের সাথে কথোপকথন চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরী করে দেবে, এটা ব্যাখ্যা করার জন্য যে তাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিচর্যা নার্সিং হোমেই পূরণ করা সম্ভব। প্রদেশটি অন্টারিওর বিপর্যস্ত হাসপাতালগুলোর উপর চাপ কমানোর প্রয়াসে এই পদক্ষেপ নিয়েছে, যেগুলো গুরুতর কর্মী সঙ্কটের সম্মুখীন এবং জরুরী বিভাগগুলোকে ঘন্টাব্যাপী বা একদিনের জন্য বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।

নতুন বিলটি এমন রোগীদের উদ্দেশ্য করে যারা একটি ‘বিকল্প স্তরের পরিচর্যায়’ হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ভাল অবস্থানে আছেন। আইনটি পাস করা হলে, এসব রোগীদের সম্মতি ছাড়াই কিছু কাজ সম্পাদন করার অনুমতি পাওয়া যাবে। অনেক আইনজীবী এই পরিবর্তনের কারণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

তাদের মতে, এটি মৌলিক ন্যায়বিচার এবং মানুষের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন, বিশেষ করে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে। যাইহোক, বিলটি বলে যে, রোগীর সম্মতি পাওয়ার জন্য প্রথমে যুক্তিসঙ্গত প্রচেষ্টা না করে কাজগুলো করা যাবে না। সূত্র : ন্যাশনাল পোস্ট