অনলাইন ডেস্ক : আগামী মাসে খুলে দেয়া হচ্ছে অন্টারিওর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সবাইকে করোনা টিকা না দিয়ে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়াটা যৌক্তিক হলো কিনা তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এক পক্ষ বলছে এত দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় এমনিতেই শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন তারা স্কুলে ফেরার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তাদের শরীর-মন সব এখন স্কুলের ক্যাম্পাসমুখী হয়ে আছে। তাই স্কুল খোলার সরকারি সিদ্ধান্তকে তারা সঠিক ও সময়োপযোগী বলছেন। অন্যদিকে আরেক পক্ষ বলছে, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট চোখ রাঙাচ্ছে, ৪র্থ ঢেউয়ের শঙ্কায় সবাই অস্থির। এমন অবস্থায় শিশুদের টিকা নিশ্চিত না করে স্কুলে ফিরিয়ে আনাটা বিপজ্জনক হতে পারে।
অন্টারিওতে বয়সভিত্তিক টিকার হিসাবে শিশু ও যুবকেরা সবচেয়ে পিছিয়ে আছে। সেখানে ১২-১৭ বছর বয়সীদের মাত্র ৪৯% এবং ১৮-২৯ বছর বয়সীদের ৫৬% দুই ডোজ টিকা পেয়েছে। অর্থাত স্কুল শিক্ষার্থীদের অর্ধেকের বেশি এখনো ফুল ডোজ টিকার বাইরে রয়ে গেছে।

অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে উত্সাহিত করলেও এটি বাধ্যতামূলক করেনি। ফলে শিক্ষার্থীদের সাথে সাথে অনেক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও টিকার বাইরে রয়ে গেছেন।

১৯৮২ সাল থেকে অন্টারিও এবং নিউব্রান্সউইকে শিশুদের স্কুলে ভর্তির আগে ৯টি রোগের টিকা দেয়া বাধ্যতামূলক। এসব রোগের মধ্যে রয়েছে- মামস, ডিপথেরিয়া, পোলিও, হাম ইত্যাদি। এসব রোগের টিকা না দিয়ে কেউ শিশুকে স্কুলে ভর্তি করলে ১ হাজার ডলার জরিমানা এবং ২০ দিনের জন্য স্কুল থেকে বহিস্কারের বিধান রয়েছে। ওই ২০ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট টিকা দিয়ে পুনরায় স্কুলে ভর্তি হতে হবে। অন্যথায় তার ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে। এ ধরনের কঠোর নিয়ম থাকায় সেখানে ওই ৯টি রোগের টিকা ছাড়া শিশুদের স্কুলে ভর্তির সংখ্যা নেই বললেই চলে। কিন্তু করোনার টিকার বিষয়ে এখনো কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকায় আগামী মাসে অনেকেই টিকা না নিয়েই স্কুলে আসবে। তাই সেখানে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সূত্র : হেলসিং সিএ