অনলাইন ডেস্ক : অন্টারিওর বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে গেছে। এদের মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি হওয়া বেশির ভাগ রোগীই করোনার টিকাবিহীন। অর্থাৎ তারা টিকার কোনো ডোজই নেয়নি। এখন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে তাদের আইসিইউ সাপোর্টে যাওয়া লাগছে।

অন্টারিওর সারনিয়া এলাকার ব্লু ওয়াটার হেলথ সেন্টারে স¤প্রতি করোনা রোগী ভর্তির সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। গত ক্রিস্টমাসের দিন করোনা সংক্রমণ নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন রেন্ডি সেমস। ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। ২ সপ্তাহ আইসিইউতে থেকে বলতে গেলে ‘মৃত্যু মুখ’ থেকে ফিরে এসেছেন তিনি। আগে নানা অজুহাতে করোনার টিকার বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও এখন তিনি অধীর অপেক্ষায় আছেনÑ কবে টিকা নেবেন। বøু ওয়ার্টার হেলথের করোনা ওয়ার্ডে এখনো টিকিৎ]সাধীন রেন্ডি সেমস বলেন, আমি আসলে ভ্যাকসিন নেয়ার বিষয়টিকে ভয় পেতাম। ওই ভয়ের কারণেই এতদিন ভ্যাকসিন নেইনি। কিন্তু এখন আমি নিশ্চিন্তে বলতে পারি- অবশ্যই সবার ভ্যাকসিন নেয়া উচিত।

তিনি বলেন, আমি প্রায় লাইফ সাপোর্টের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। দুই সপ্তাহ আইসিইউতে থাকার পর এখনও মাঝে মধ্যে আমার শ্বাসকষ্ট হয়। ভ্যাকসিন নেয়া থাকলে হয়তো আমাকে এতটা ভোগান্তি পোহাতে হতো না।

হাসপাতালের ১৪ বেডের আইসিইউ এখন সর্বদাই পূর্ণ থাকছে। আর আইসিইউ রোগীদের বেশির ভাগই টিকা নেয়নি বলে জানা গেছে। দ্য লেম্বটন পাবলিক হেলথ ইউনিটের একটি সূত্র জানিয়েছে, সেরনিয়াসহ অন্টারিওর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে টিকা নেয়ার হার তুলনামূলক কম। পুরো অন্টারিওতে যেখানে উভয় ডোজ টিকা নেয়ার হার ৮২% সেখানে ওই অঞ্চলে তা ৭৭%।

বøুওয়াটার হেলথের টিকিৎসক মাইক হাদ্দাদ বলেন, তাদের হাসপাতালে এই মুহূর্তে আইসিইউ রোগীর ৭৫% টিকাবিহীন। এই সংখ্যা ১০০% হওয়াটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি বলেন, আমরা প্রথম অবস্থায় রোগীদের টিকা দেয়া না দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করি না। আমাদের দায়িত্ব চিকিৎসা দেয়া, আমরা তা দেই। টিকা না নেয়া রোগীরই পরে আক্ষেপ করে বলে, ‘যদি টিকা পাওয়া যেত’। তিনি করোনা সংক্রমণ থেকে নিজে বাঁচতে এবং স্বজনদের রক্ষা করতে দ্রæত টিকা নেয়ার জন্য সবাইকে পরামর্শ দিয়েছেন। সূত্র : সিবিসি