অনলাইন ডেস্ক : কানাডার অন্টারিও প্রদেশে লংটার্ম কেয়ার হোমগুলোতে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ আগের মত হলেও এবার মৃত্যু হার অনেক কম। প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি ব্যাপক হারে টিকা প্রদান বিশেষ করে বুস্টার ডোজ দেয়ার ফলে হোমগুলোতে মৃত্যুহার কমানো গেছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে এসব হোমে সংক্রমণের হার ২০২০ সালের মত হলেও মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম। অন্টারিওর লংটার্ম কেয়ার হোমের বেশির ভাগ বাসিন্দাদের বুস্টার ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এসব হোমে ৬ হাজার ১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই সংখ্যা ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত করোনার ১ম ঢেউয়ের সময় পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যার চাইতে বেশি। কিন্তু ওই প্রথম ঢেউয়ে আক্রান্তদের মধ্যে মারা যাওয়ার সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯৪০, আর এবার এই সংখ্যা ২৫১।
অন্টারিওর লংটার্ম কেয়ার হোমে সবচেয়ে ভয়াবহ দু’টি মাস ছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বর ও ২০২১ সালের জানুয়ারি। ওই দুই মাসে ১৪৪০ জন বয়োবৃদ্ধ করোনায় মারা যান। এরপর থেকেই হোমগুলোতে টিকা কার্যক্রম জোরদার করা হয়। গত ২ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত লংটার্ম কেয়ার হোমে যে ২২০ জন বাসিন্দা করোনায় মারা গেছেন তাদের মধ্যে মাত্র এক জনের ফুল ডোজ টিকা দেয়া ছিল। অন্যদের মধ্যে ১৪৯ জনের ৩ ডোজ, ৩৬ জনের দুই ডোজ, ২ জনের এক ডোজ এবং ৩২ জন ছিলেন আন ভ্যাকসিনেটেড। অন্টারিও পাবলিক হেলথ অফিস সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। লংটার্ম কেয়ার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অন্টারিও প্রদেশে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গত ডিসেম্বরে হোমের বাসিন্দাদের টিকার ৪র্থ ডোজ এবং কর্মীদের তৃতীয় ডোজ নিশ্চিত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্ক নেসবিট এক ইমেইল বার্তায় বলেছেন, সরকার যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে তা কাজ করেছে। আমরা দীর্ঘমেয়াদী কেয়ার হোমগুলোর পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। জেরিয়াট্রিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ড. সমীর সাহা বলেন, গত জানুয়ারি মাসেও অন্টারিওর লংটার্ম হোমগুলোতে রেকর্ড সংখ্যক বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু সেই তুলনায় মৃত্যু হার ছিল কম। তিনি এর জন্য টিকা করনের বিষয়টিকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। এর আগে টিকা না নেয়ায় যেসব বাসিন্দা মৃত্যুবরণ করেছেন তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, একটু সচেতন হলে ওই মৃত্যুগুলো হয়তো ঠেকানো যেত। ‘প্রতিরোধ যোগ্য’ ওই মৃত্যুগুলোর পরিসংখ্যান তাকে ‘মর্মাহত’ করে বলে তিনি জানান। সূত্র : সিবিসি