Home কলাম অল্প স্বল্প গল্প : সোহিনীর অন্তর্ধান

অল্প স্বল্প গল্প : সোহিনীর অন্তর্ধান

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p>বিদ্যুৎ সরকার &colon; à§§&period;<br &sol;>&NewLine;সোহিনীর কথা মনে পড়ে&quest; আমরা এক সাথে পড়তাম&comma; এক সাথেই চলতাম ফিরতাম। এমন কি মারামারিও করতাম এবং সে থাকতো সবার আগেই। নেতৃত্বটা আগে ভাগেই নিয়ে নিত নিজের করে। সোহিনী আমাদের কিসে ছিল না কিসে নেই&quest;<&sol;p>&NewLine;<p>মেলা দিন হোয়ে গেল সেই সোহিনীর আজও কোন হদিস মিলেনি। না আমরা জানি&comma; না ওর কাছের বন্ধুরা জানে। পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মীয়-স্বজন সবাইকে জানানো হয়েছে তার এই হঠাৎ হাওয়া হোয়ে যাওয়ার ঘটনা। বিভিন্ন পুলিশ স্টেশন&comma; হাসপাতাল এমনকি কিছু কিছু সোসাল অর্গানাইজেশনকেও অবগত করা হয়েছে বিষয়টি। আমরা যতটুকু জানি ওর কোন এফেয়ার ছিল না কারোর সাথে। আত্মীয় স্বজনরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে তাদের মেয়ে এমনটি কখনো করবে না। তা’হলে কী এমন ঘটনা ঘটতে পারে যার দরুন সে স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় এমনভাবে লাপাত্তা হয়ে গেল। ব্যাপারটা তার পরিবারকে যেমনটা ভাবিয়ে তুলেছে আমাদেরকেও কম করেনি। ওর অন্তর্ধান হওয়ার বিষয়টি সত্যিই অবাক করার মতো ঘটনা বটে। অবশ্য এক দুবার এমনটিও করেছে&comma; আমাদের কাউকে কিছু না বলেই হঠাৎ গায়েব&excl; আমাদের ভীষণ রাগ হতো&comma; অভিমান হতো ওর উপর। কিন্তু ফিরে এসে এমন কিছু করতো সে যাতে আমরা তার উপর রাগ অভিমানের বিষয়টা ভুলে যেতাম। হয়তো বলতো আজ আমি তোমাদের ট্রিট দিচ্ছি কিংবা ফোন করে আমাদের জানিয়ে দিবে আমরা সবাই যেন সময় মত সিনে ফ্ল্যাক্সে হাজির হয়ে যাই ও টিকেট করে রাখবে। মুভি দেখার পর চা-পর্ব তাও তার প্রযত্নে। এই হলো আমাদের সোহিনী। আমরা যারা সোহিনীকে ঘিরে একটি বন্ধুত্বের বৃত্তে আবর্তিত তারাই জানি তার এই গুনের খবর। সেটা মাঝেমধ্যে করে থাকলেও দু-এক দিনের জন্য হতো। কিন্তু এবারতো অনেক দিন হয়ে গেল&excl;<&sol;p>&NewLine;<p>অবশ্য একবার এক বন্ধুর সাথে রাগ করে হঠাৎ নিরুদ্দেশ। কোথাও কোন কিছু না বলে বেশ কয়েক দিন আত্মগোপন করেছিল ওর বগুড়ার এক খালার বাড়ি। শুধু খালাই বিষয়টি জানতো। খালাকে বলেছিল শুধু মাকে গোপনে জানাতে। আর&comma; কেউ যেন তার হদিস না পায় কোথায় আছে কেমন আছে ইত্যাদি ইত্যাদি। যখন সে ফিরে এলো তখন বন্ধুদের বাড়িতে বিকেলে চায়ের দাওয়াত দিয়ে অবশ্যই আসতে বললো। সবাই যখন জানতে চাইলো কোথায় গিয়েছিল&comma; কেন গিয়েছিল&quest; তখন সে অবলিলায় বলে যেতে লাগলো&comma; সে বগুড়া গিয়েছিল এক বন্ধুর সাথে কয়েকটি কারণে প্রথমত ঐতিহাসিক সেই মহাস্থান গড় দেখা&comma; দ্বিতীয়ত&colon; সাত রাস্তার মোড় এবং বগুড়ার বিখ্যাত দৈ ও কটকটি খাওয়া। কিন্তু এবার কেউই তার নিরুদ্দেশ হবার বিষয়ে কিছুই জানে না। সেজন্যই এবার এটা ভাববার ব্যাপার। ওর কলেজের বন্ধু&comma; পাড়া-মহল্লার বন্ধু ছাড়াও অন্যান্যদের কাছে খোঁজ নিয়েও কোন কুল কিনারা করা সম্ভব হয়নি আজ অব্দি। সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো ওর সেল ফোনটিও সাথে নিয়ে যায়নি। এটা কি ইচ্ছাকৃত ভুল নাকি ভুল করেই ভুল করেছে সোহিনী&quest; এমন কোন ক্লু নেই&comma; যা থেকে তাকে খুঁজে বের করা সম্ভব হবে।<&sol;p>&NewLine;<p>২&period;<br &sol;>&NewLine;গতকালের দৈনিক পত্রিকায় খিলগাঁয়ের একটি ডোবায় এক যুবতীর লাশ খুঁজে পায় পুলিশ। লাশের বর্ণনা পড়ে তার আত্মীয় স্বজন&comma; বন্ধু-বান্ধব সবাই ছুটে যায় সেখানে। কিন্তু&comma; সেটা অন্য কারোর ডেড বোডি ছিল। ঘটনার গুরুত্ব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছিল। পাড়ার অনেকেই বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা করছিল আড়ালে আবডালে। সোহিনীর মাকে ঘুণাক্ষরেও বিষয়টি জানানো হয়নি&comma; সে তখন গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিল। ঘর তালাবদ্ধ। দু’রুমের বাসায় মা আর মেয়ে ছাড়া আর কেউ থাকে না যে কাউকে জিজ্ঞেস করে সোহিনীর খোঁজ খবর নেয়া যাবে। আশেপাশের বাসার কেউই কিছু বলতে পারছে না। হঠাৎ একদিন সন্ধ্যার পর তালা খোলার শব্দ শুনে পাশের বাসার এক ভাবি দরজা খুলে তো অবাক&excl; সোহিনী চাবি দিয়ে ঘরের তালা খুলছে। ভুত দেখার মতো ভাবি সোহিনীর দিকে বিস্মিত হয়ে নিস্পলক তাকিয়ে আছে। সোহিনী তালা খুলতে খুলতে ভাবির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; কেমন আছো ভাবি&quest;<&sol;p>&NewLine;<p>&&num;8211&semi; আমি ভাল&comma; তুমি এতোদিন কোথায় ছিলা সোহিনী&quest; শরীর ভালতো&quest;<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; ভালো আছি&comma; খুব মজা করলাম এ ক’দিন।<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; তাই বলে বলা নেই&comma; কওয়া নেই হঠাৎ লাপাত্তা ব্যাপারটা কি&quest; কোন ছেলে বন্ধুর হাত ধরে আমাজন নাকি আন্দামান&quest;<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; না ভাওবি সে কপাল কি আমার আছে&quest; আসলে কোন সমস্যা&quest;<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; ব্যাগ পততর রেখে একটু ফ্র্যাশ হয়ে আমার ঘরে আস&comma; কথা আছে।<br &sol;>&NewLine;সোহিনী ঘরে ঢুকেই প্রথমে তার সেল ফোন হাতে নিয়ে দেখে হাজারটা মিস্ কল তার বন্ধু-স্বজন ও পরিচিতদের কাছ থেকে। নিজের ভুলের খেসারত তাকেই দিতে হবে একে একে প্রত্যেককে রিপ্লাই করে। হাত-মুখ ধুয়ে&comma; কাপড় চেঞ্জ করে ভাবির বাসার দরজায় নক্ করতেই ছোট মেয়ে লিরা এসে দরজা খুলে দিল। সোহিনীকে দেখেই লিরা তার হাত ধরে টানতে টানতে তার মা’র কাছে নিয়ে গেল। ভাবি সোহিনীকে বসতে বলে কিচেন থেকে কিছু স্ন্যাক্স ও গরম কফি নিয়ে আসলো। স্ন্যক্স খাওয়ার পর কফি খেতে খেতে জিজ্ঞেস করলো<&sol;p>&NewLine;<p>&&num;8211&semi; বলেন ভাবি কি না কি বলবেন&quest;<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; আরে তার আগে বল কোথায় গিয়েছিলে&comma; এত্তোদিন হলো কোন খোঁজ -খবর নাই&quest;<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; কেন আমিতো আপবার দরজায় চিরকুট রেখে গিয়েছিলাম পান নাই&quest; ও কাগজে লিখেও গিয়েছিলাম&comma; আমি কক্সবাজার যাচ্ছি কিছুদিনের জন্য বিস্তারিত ফোনে বলবো।<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; কিন্তু দরজায়তো কোন কাগজ ছিল না।<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; লিরা বললো&comma; হুম মা একটা পিন্ক কালারের সুন্দর একটি কাগজ ছিল। ওটা দিয়ে নৌকা বানিয়ে ড্রেনের পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছি।<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; লিরার কারণেই আজ এ অবস্থা হলো।<&sol;p>&NewLine;<p>&&num;8211&semi; না ভাবি ওকে বকবেন না&comma; ও তো ছোট্ট মানুষ।<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; আর&comma; আমি তোমার ফোনে কতবার কল দিয়েছি ইয়ত্তা নাই।<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; ভাবি সরি&comma; যাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আমার ফোনটাই রেখে গেছি ভুল করে। আমি দেখেছি কতগুলো মিস্ কল ফোনে। এমন কি আপনার ফোন নাম্বারটাও মনে করতে পারছিলাম না কিছুতেই।<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; তোমার হদিস না পেয়ে আমি&comma; পাড়ার সকলেই এবং তোমার বন্ধুরা খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। কতো জায়গায় এমনকি হাসপাতালগুলোতেও তোমায় খুঁজেছি।<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; এত্তো ঘটনা ঘটে গেছে&excl;<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; তুমি হঠাৎ করে কক্সবাজার গেলে যে&quest;<&sol;p>&NewLine;<p>আর বলবেন না&comma; শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনিতে আমার এক বান্ধবী আছে ওর বাবা রেলওয়েতে চাকরি করে। ঢাকা-কক্সবাজার নতুন রেল-সার্ভিস চালু হয়েছে সে উপলক্ষে ওর বাবা দু&&num;8217&semi;টো কম্পলিমেন্টরি পাশ পেয়েছে।কেউই যেতে চাচ্ছিল না&comma; আমাকে বলতেই রাজি হয়ে গেলাম। ব্যাস&comma; যা ভাবা তাই করে ফেললাম।ভোরে ঘুম থেকে উঠেই তড়িঘড়ি করে ছুটলাম স্টেশনে। আর সবচেয়ে বিপত্তি ঘটলো আমার সেল ফোনটা ভুল করে ফেলে যাওয়াতে।<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; সন্ধ্যার পর সব গল্প শুনবো। শাওয়ার নিয়ে দুপুরে আমার বাসায় চলে এসো&comma;একসাথে লাঞ্চ করবো। তার আগে সবাইকে ফোন করে জানিয়ে দাও তুমি ভালো আছো এবং বাসায় ফিরে এসেছো।<br &sol;>&NewLine;&&num;8211&semi; ও কে ভাবি।<&sol;p>&NewLine;

Exit mobile version