অনলাইন ডেস্ক : আঙ্কারা সফরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সঙ্গে ইউক্রেনে যুদ্ধ, কৃষ্ণ সাগরীয় শস্যচুক্তি এবং গ্যাস হাব স্থাপন নিয়ে আলোচনা করবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

মঙ্গলবার এসব তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান পুতিনের সফরের নির্দিষ্ট তারিখ জানাননি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলার পর এটিই হবে তার প্রথম কোনো ন্যাটো দেশ সফর। তুরস্কের এক কর্মকর্তা বলেছেন, পুতিন ১২ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক সফর করতে পারেন।

কৃষ্ণ সাগরীয় শস্যচুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য মধ্যস্থতা করে যাচ্ছে আঙ্কারা। জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় এ চুক্তির আওতায় যুদ্ধকালে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেনীয় শস্য রফতানির জন্য একটি নিরাপদ করিডোর গড়ে তোলা হয়েছিল। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে রাশিয়া চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়।

মাল্টার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করছে তুরস্ক।

তিনি বলেছেন, জ্বালানি নীতির ভিন্নতা থেকে শুরু করে সিরিয়া, লিবিয়া ও দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের সংঘাতসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মস্কোর সঙ্গে চলমান, নিয়মিত সংলাপকে গুরুত্ব দেয় আঙ্কারা।

হাকান ফিদান বলেন, আমরা সব সময় ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার পক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং তা অব্যাহত থাকবে; কিন্তু যুদ্ধের ধ্বংসাত্মক প্রভাব যেকোনো উপায়ে বন্ধও করতে হবে।

কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্গে সীমানা রয়েছে তুরস্কের। যুদ্ধকালেও উভয় দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে আঙ্কারা। ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা দিয়েছে এবং দেশটির আঞ্চলিক অখণ্ডতার পক্ষে সোচ্চার হয়েছে। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে তারা।

মঙ্গলবার ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, আসন্ন তুরস্ক সফরে পুতিন গ্যাস হাব নিয়ে আলোচনা করবেন।