অনলাইন ডেস্ক : করোনা মহামারি রোধে অটোয়ায় প্রায় একমাস ধরে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। এতে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে এয়ার কানাডা। এই ক্ষতি কমাতে তারা এখন পুনরায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর চিন্তা ভাবনা করছে। এ বিষয়ে তারা বিভিন্ন সংস্থার কাছে পরামর্শ চেয়েছে। তারা বুঝতে চাইছে, কখন কানাডার আকাশ বিমান চলাচলের জন্য সত্যিকারভাবে উপযুক্ত হবে।

এয়ার কানাডার প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহি মিশেল রুশো গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর কথা ভাবছি। এ বিষয়ে বিভিন্ন জনের কাছে পরিকল্পনা চাওয়া হয়েছে। অনেকেই আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ দ্রæত শুরুর কথা বলেছেন। তিনি সংস্থার চলতি অর্থ বছরের ১ম কোয়ার্টারের আর্থিক অবস্থার চিত্রও তুলে ধরেন। এতে তিনি সংস্থার বিপুল অংকের ক্ষতির কথা জানান। এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচী বাড়ানো হয়েছে, সংক্রমণও কমে আসছে। এখন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করার কথা ভাবা যায়। তিনি আরো বলেন, ইতিপূর্বে যাত্রীদের ৩ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন পদ্ধতি কাজ করেনি। তাই হোটেলে ওই ধরণের আটক রাখার সিস্টেম বাতিল করতে হবে। এর পরিবর্তে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক আইসোলেশন পদ্ধতি চালু করতে হবে। রুশো বলেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলে সব যাত্রীকে হোটেলে ৩ দিন রেখে তাদের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। যাদের পজিটিভ আসবে তাদের হাসপাতালে ভর্তি বা ফিরতি ফ্লাইটে ফেরত পাঠাতে হবে। আর যাদের নেগেটিভ আসবে তাদের বাড়িতে ১৪ দিনের কঠোর আইসোলেশনে থাকতে হবে। সেখানে তাদের অবশ্যই ২য় দফা করোনা পরিক্ষা করতে হবে।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরুর অনুমতি চেয়ে তিনি বলেন, বিমান পরিবহন খাত দেশের অর্থনীতির একটি প্রধান স্তম্ভ। মহামারির আগে দেশের মোট জিডিপির ২% যোগান দিত এয়ার কানাডা। এছাড়া এখানে প্রত্যক্ষভাবে ৪০ হাজার এবং পরোক্ষভাবে ১ লাখ ৯০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। তিনি বলেন, তার বিশ্বাস সঠিক পরিকল্পনা ও কঠোর নিয়ম-নীতি পালনের মাধ্যমে খুব দ্রুত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করা সম্ভব। আর এটি না করা গেলে ক্ষতির পরিমাণ দিন দিনই বাড়বে।

দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে এখন প্রতিদিন এয়ার কানাডার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া নতুন আর্থিক বছরের ১ম ৩ মাসে সংস্থার নিট ক্ষতি হয়েছে ১.৩ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের এই সময়ের চাইতে এবারের ক্ষতি প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বেশি। মার্চ ৩১ তারিখে সংস্থার প্রতি শেয়ারে ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ৩.৯০ ডলারে। শুক্রবার দিনের শেষভাগে টরন্টো স্টক এক্সচেঞ্জে এয়ার কানাডার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪.৭০ ডলারে। সূত্র : দ্য কানাডিয়ান প্রেস