অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকা মার্কার জয়লাভ হবে। আবারও জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করব।

নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে করতে পারছি মন্তব্য করে এসময় শেখ হাসিনা বলেন, অনেক বাধা ছিল, বিপত্তি ছিল, দেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়েছে। ভোট দেয়ার পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পেরেছি। এজন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞ বলে জানান তিনি।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, তারা নির্বাচনে বিশ্বাস করেন না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জ্বালাও-পোড়াওয়ের অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। জঘন্য কাজগুলো যারা করেছে, তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। দেশের মানুষের কল্যাণও চায় না। গণতান্ত্রিক ধারা চায় না।

সামনে আরও কাজ আছে সেগুলো শেষ করতে চান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে তা, বাস্তবায়ন করতে পারব। জনগণের ওপর এ বিশ্বাস আছে তার।

এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।

ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র‌্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য।

এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি।

এদিকে, বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবোরধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।