অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবারও কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে হাসপাতালটির সিসিইউতে নেওয়া হয়।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত বুধবার মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি ঘটেনি। আগের মতোই লিভারের জটিলতার পাশাপাশি ফুসফুসের জটিলতা নিয়ে শঙ্কিত তারা।

তিনি জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার ফুসফুস থেকে পানি বের করা হয়েছে। শরীরে ক্যাথেটার লাগানো হয়েছে। আগে যেখানে দু-তিন দিন পরপর পানি বের করা লাগত, এখন প্রতিদিনই পানি বের করতে হচ্ছে।

তার আগের দিন মঙ্গলবার কেবিনে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়ার আলট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। এর আগেও তাকে কয়েক দফায় সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল।

চিকিৎসক জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি নেই। লিভার সিরোসিসের সঙ্গে কিডনির জটিলতাও বাড়ছে। লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া বিকল্প নেই। এজন্য উন্নত চিকিৎসায় দ্রুত তাকে বিদেশ পাঠানো দরকার।

এদিকে, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে তার পরিবার থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে এখন আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে শিগগিরই সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া কিডনি, ফুসফুস, হৃদ্‌রোগ ও লিভার জটিলতায় ভুগছেন। গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালটির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে।