অনলাইন ডেস্ক : দ্বিতীয়বারের মতো হামাসের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইসমাইল হানিয়া। আগামী চার বছর তিনি হামাসের নেতৃত্ব দেবেন। এর আগে ২০১৭ সালে তিনি প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তবে এ বছর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। গতকাল রোববার হামাসের নির্বাহী কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

৫৮ বছর বয়সী ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল হামাসের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ ইয়াসিনের। ২০০৪ সালে গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় ইয়াসিন নিহত হওয়ার পর রাজনীতিতে প্রবেশ করেন ইসমাইল হানিয়া। ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের সংসদ নির্বাচনে মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ পার্টিকে হারিয়ে তিনি জয়লাভ করেন। এরপর ওই বছরই জানুয়ারিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী হামাসকে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করায় আর প্রধানমন্ত্রীর হতে পারেননি তিনি।

২০০৭ সালে এক গৃহযুদ্ধে গাজা অঞ্চল দখল করে নেয় হামাস। এরপর থেকে ইসরায়েল গাজাকে আকাশ, সড়ক ও জলপথে অবরোধ করে রেখেছে। তবে গাজা ছাড়াও ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজার বাইরে ফিলিস্তিনি অভিবাসীদের নিয়ে রাজনৈতিকসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে হামাস। গোষ্ঠীটির উদ্দেশ্য হলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। ২০০৭ সাল থেকে হামাস ও ইসরায়েল অন্তত চারবার যুদ্ধে জড়িয়েছে।

চলতি বছরের মে মাসে ইসরাইলের সঙ্গে হামাসের যে ১১ দিনব্যাপী যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন ইসমাইল হানিয়া। যুদ্ধে ২৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলের ১৩ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়। তবে, ইসমাইল হানিয়া গত দুই বছর তুরস্ক ও কাতারে বসেই হামাস পরিচালনা করছেন। তিনি কবে নাগাদ ফিলিস্তিনে ফিরবেন, সে সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই স্থানীয় কর্মীদের।