অনলাইন ডেস্ক : নিজেকে একজন ইহুদিবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার দাবি, জায়োনিস্ট বা ইহুদিবাদী হওয়ার জন্য কারও ইহুদি হওয়ার দরকার নেই।

এমনকি ইসরায়েল না থাকলে পৃথিবীর কোনও ইহুদী নিরাপদ থাকবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেকে একজন ইহুদিবাদী হিসেবে পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং বলেছেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের শান্তি ও নিরাপত্তা দেওয়ার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে।

স্থানীয় সময় গত সোমবার গভীর রাতে এনবিসি-তে ‘লেট নাইট উইথ সেথ মেয়ার্স’ অনুষ্ঠানে উপস্থিতি হয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘জায়োনিস্ট বা ইহুদিবাদী হওয়ার জন্য আপনার ইহুদি হওয়ার দরকার নেই। আমি একজন ইহুদিবাদী। ইসরায়েল না থাকলে পৃথিবীতে একজন ইহুদিও নিরাপদ থাকতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এখানে একটি বিষয় আছে। তাদেরকে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে, যারা হামাসের হাতে গুটির মতো ব্যবহৃত হচ্ছে।’

মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেছেন, এ বিষয়ে একটি প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যদি আমরা সেই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিটি অর্জন করতে পারি, তাহলে আমরা এমন একটি দিকে যেতে সক্ষম হব যেখানে গতিশীল পরিবর্তনের মাধ্যমে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান মেনে আমরা ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিতে পারব।’

রাফাহতে সম্ভাব্য ইসরায়েলি অভিযানের বিষয়ে বাইডেন বলেন, ইসরায়েলিরা ‘আমার কাছে একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তারা সেখানে যাওয়ার আগে রাফাহ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষকে সরিয়ে নিতে তারা সক্ষম হবে এবং এরপর হামাসের অবশিষ্ট অংশগুলোকে খুঁজে বের করবে’।

তবে মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট পুনর্ব্যক্ত করেছেন, গাজায় অনেক নিরীহ মানুষ নিহত হচ্ছে।

ইসরায়েলের পক্ষে বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের অপ্রতিরোধ্য সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘যদি এটি (নিরীহ মানুষ নিহত হওয়া) চলতেই থাকে, তবে তারা বিশ্বজুড়ে সমর্থন হারাবে। এবং এটি ইসরায়েলের স্বার্থে ভালো কিছু নয়।’

তিনি আরও বলেন, রমজান আসছে। ইসরায়েলিরা সম্মত হয়েছে, রমজানে তারা কোনেও ধরনের কার্যক্রম চালাবে না। এর সঙ্গে বন্দিদের ছাড়িয়ে নিতে আমাদের সুযোগ দিতেও তারা হামলা বন্ধ রাখবে।’

অবশ্য এর আগে তিনি বলেছিলেন, আগামী ৪ মার্চের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হবে বলে তিনি আশা করেন।