অনলাইন ডেস্ক : আমেরিকার শীর্ষ ১০ উদীয়মান সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশি-আমেরিকান ওয়াকিল প্রান্ত। ২০২০ সালে আমেরিকান সোসাইটি অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স (এএসসিই) আমেরিকা থেকে ১০ জন তরুণ মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করে এ স্বীকৃতি প্রদান করে। ওয়াকিল প্রান্ত নিউইয়র্ক স্টেট থেকে একাই নির্বাচিত হয়েছেন।

শীর্ষ ১০ উদীয়মান সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সবাই চলতি বছরের মে মাসে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ওয়াকিল প্রান্ত ইউনিভার্সিটি অব বাফেলো (ইউবি) থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন।

এএসসিইর কর্মসূচি ‘নেক্সট জেনারেশন অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং লিডারস’–এর আওতায় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এই নতুন মুখের অনুসন্ধান করা হয়। আমেরিকায় সম্ভাবনাময় ১০ জন নতুন মুখের তালিকায় আরও রয়েছেন পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির অ্যাবি কাওসার, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ম্যাথিউ ক্রিস্টি, ইউনিভার্সিটি অব আলাস্কার ক্যাসি গ্রান্ডহসার, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির ম্যাথিউ জ্যাকবসন, ইউনিভার্সিটি অব লুইসভিলের রায়ান ক্যাবফ্লেস, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডার আলদিয়া ম্যাকডেভিড, ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটসের সোফিয়া স্যাভোকা, ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াইয়ের ম্যাক্স টাগা ও নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মাইক টরমি। এই শীর্ষ ১০ জনের মধ্যে ওয়াকিলের অবস্থান ছিল সপ্তম।

ওয়াকিল ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত প্রতি সামারে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে ইন্টার্ন করেছেন। তাঁর ইন্টার্ন করা কোম্পানিগুলো হলো এইচডিআর, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি কিউথ, মেট্রোনর্থ ও এমএসসি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ইউনিয়ন সদস্য ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টস ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি জড়িত ছিলেন হ্যাবিটাট ফর হিউম্যানিটি ও রেডক্রসের কর্মকাণ্ডে। ওয়াকিল বন্ধুদের নিয়ে ‘বাফেলো নায়াগ্রা ওয়াটার কিপার’ শীর্ষক ইভেন্ট পরিচালনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কমিউনিটি সার্ভিসের জন্য তাঁকে বিশেষ স্বীকৃতিও দিয়েছে।

আগামী আগস্ট মাস থেকে ওয়াকিল ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোতে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স শুরু করবেন। দুই বছর বয়সেই তিনি মা–বাবার সঙ্গে আমেরিকায় আসেন। বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া ওয়াকিল প্রান্ত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক মনোয়ারুল ইসলাম এবং আফরোজা ইসলামের জ্যেষ্ঠ সন্তান।