Home কলাম আম্মা’র তালপাখা ও “হ্যাপি মাদার্স ডে”

আম্মা’র তালপাখা ও “হ্যাপি মাদার্স ডে”

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>সাজ্জাদ আলী &colon;<&sol;strong> বাড়িতেই আমার বিদ্যাশিক্ষা শুরু হয়েছিলো। রাজপাটের হাঁট থেকে দুখানা আদর্শলিপি বই&comma; স্লেট দুইখানা&comma; দুই বাক্স চক ইত্যাদি কিনে আনা হলো। দাদী কোন ঝুঁকি নিতে চাননি। সব শিক্ষা উপকরণ তিনি ডাবল সেট মজুত করেছিলেন। তাঁর পোতা যে বই ছিঁড়বে&comma; স্লেট ভাঙ্গবে&comma; বাক্সসুদ্ধু চক উঠানের কাদায় ফেলবে&semi; এসব তো জানা কথা। তো সেই শিক্ষায়োজনের মধ্যে ‌&&num;8217&semi;স্লেটলিখন’ ছাড়া বাকি সবটুকুই আমার অসহ্য লেগেছিলো। স্লেটে হিজিবিজি দাগ কেটে তা আবার আঙ্গুলের ডলায় মুছে ফেলার আনন্দে থাকতাম দিনভর। নিজ আগ্রহে জাকিয়া ফুফু আমার শিক্ষক নিযুক্ত হলেন। আর সেই দিনটি থেকে আম্মা একখানা &OpenCurlyDoubleQuote;তালপাখা” হাতে তুলে নিলেন&excl; কেউ যেন আবার ভাববেন না যে&comma; সে বছর আমাদের গাঁয়ে ভীষণ গরম পড়েছিলো বলে আম্মার তালপাখা দরকার হয়েছিলো।<&sol;p>&NewLine;<p>ফিরছি আবার তালপাখা’র কথায়। তবে তার আগে কানাডিয়ান মা-সন্তানদের স্নেহবাঁধন নিয়ে কিঞ্চিৎ বলে নি। আমাদের পাশের বাড়ির লুসি’র বয়স এখন ৮২ বছর চলছে। জীবনের একাকীত্ব কাটাতে সে দুটো কুকুর দত্তক নিয়েছে। আজ সকালে ড্রাইভওয়ে দিয়ে হাঁটাহাটি করছিলাম। খুশিতে গদগদ মুখোভাব নিয়ে লুসি এগিয়ে এলো। অন্যান্য দিনের মতো গুডমর্নিং টর্নিং না বলে সোজা বললো&comma; হ্যাপি মাদার্স ডে&excl; আমি মৃদুহাস্যে তাঁর দিকে সম্ভাষণসূচক মাথা দোলালাম। জান আলী&comma; আজ সকালেই ইসাবেলা আর মারিয়া ফোন করেছিলো। লুসির মুখাবয়াবে আনন্দ ও গর্বের মিশ্রিত প্রলেপ। বলছিলো&comma; মাদার্স ডে’তে মায়ের কথা আমার মেয়ে দুটো ঠিকই মনে রেখেছে। কি যে খুশি এই বৃদ্ধা&excl; মাত্র দুটি ফোন কল তাঁকে যেন পুরো জগৎ সংসারের সম্রাজ্ঞীতে পরিণত করেছে।<&sol;p>&NewLine;<p><img class&equals;"aligncenter size-full wp-image-2663" src&equals;"https&colon;&sol;&sol;www&period;banglakagoj&period;com&sol;wp-content&sol;uploads&sol;2020&sol;05&sol;Tal-Pakha&period;jpg" alt&equals;"" width&equals;"600" height&equals;"350" &sol;><&sol;p>&NewLine;<p>লুসির মেয়েরা কাছের শহরেই থাকে&comma; টরন্টো থেকে দু’শ কিলোমিটারের মধ্যেই। বড়জোর ২ ঘন্টার ড্রাইভ। তবুও মাকে দেখতে আসার অভ্যাস নেই তাদের। গত à§§à§­ বছরে মাত্র দুবার কি তিনবার মেয়ে দুটোকে ও বাড়িতে আসতে দেখেছি&comma; তাও রাতে থাকেনি। à§­&sol;à§® বছর আগে ওদের বাবা মারা গেলেন&comma; তখনও মেয়েরা কেউ মাকে দেখতে আসতে পারেনি। লুসি জানতে চাইলো&comma; তোমার মাকে আজ ফোন করেছো&quest; আমতা আমতা করে বললাম&comma; ফোন কেন করবো বলোতো&quest; ও মাই গড&comma; তাঁকে মাদার্স ডে’র শুভেচ্ছা জানাবে না&quest; এক্ষুণি ঘরে গিয়ে ফোন করো তো&comma; বলেই লুসি বিরক্তমুখে ফিরে গেল। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবলাম খানিকক্ষণ&comma; সন্তানদের কত সামান্য কর্তব্য পালনে কানাডিয়ান মায়েরা কি অসামান্য তুষ্টি পায়&excl; লুসিদের কি করে বোঝাই যে&comma; আম্মার জন্যে কোন বিশেষ দিন নয়&comma; আমার পুরোটা জীবনই তো উৎসর্গ করে রেখেছি।<&sol;p>&NewLine;<p>মায়ের সাথে সম্পর্কটা আত্মিক&comma; লৌকিক নয় মোটেই। আমি যদি আজ ফোন করে আম্মাকে বলি&comma; &OpenCurlyDoubleQuote;হ্যাপি মাদার্স ডে আম্মা”&comma; তাহলে তো তাঁর মাথায় বর্জপাত হবে&excl; ভাববেন আমার ছেলেটার কি হলো&quest; এ সব আবোলতাবোল বলছে কেন সে&quest; ও কি তবে মানসিক ভারসাম্য হারালো&quest; আমার সাথে ফোনের লাইন কেটে দিয়ে তিনি তখনই রত্নাকে ফোন করবেন&comma; আমি কেমন আছি তা জানতে&quest; উচ্ছ্বাসকে ফোন করে বলবেন&comma; তোর বাবাকে গিয়ে দেখে আয় তো সে সুস্থ আছে কিনা&quest; জীবনের ক্ষণগণনায় যাঁর স্থিতি মনের প্রতিটি কোণায়&comma; তাঁকে কিনা বছরের একটি মাত্র দিনে স্মরণে এনে বলবো&comma; &OpenCurlyDoubleQuote;হ্যাপি মাদার্স ডে”&excl; যে বলে বলুক&comma; ওটা আমাকে দিয়ে হবে না। তবে লুসির কথার ঝাঁকুনিতে আম্মাকে স্মরণে এনে লিখতে ইচ্ছে হলো।<&sol;p>&NewLine;<p>শুরুতে বলছিলাম&comma; আদর্শলিপি বইখানি পড়া শুরুর কথা। শিক্ষারম্ভের মাসখানেক বাদে আমার বিদ্বান হয়ে উঠার অগ্রগতি নিয়ে জাকিয়া ফুফু আশাবাদি&comma; দাদী গদগদ&comma; আম্মা হতাশ&comma; আর আমার মনটা &OpenCurlyDoubleQuote;পালাই পালাই”। পড়াতে বসিয়ে স্নেহময়ী শিক্ষক বলেন&comma; বাবা বলো তো &OpenCurlyDoubleQuote;স্বরে আ তে আম্মা”। আর আমি বলি&comma; ফুফু উত্তরমুড়ার হিজল গাছে ম্যালা ফুল ফুটছে। কাইল বিয়ানে গাছ তলায় ঝরা ফুলের মালা গাঁথতি যাবো। ফিসফিসিয়ে আরো বলি&comma; দাদী সুঁই সুতা দিছে। ফুফু বিরক্ত হয়ে বললেন&comma; আচ্ছা বাবা সকাল তো হোক&comma; এখন পড়ায় মন দে। কেমনে মনটা দেই&quest; পড়াটা তো আর ফুল কুড়ানোর থেকে বড় কিছু না। আইচ্চা ফুফু আপনি কয় হাত লাম্বা&quest; কাইল আপনার সমান একগাছ মালা গাঁথবো। হঠাৎ পেছন থেকে পিঠের উপরে এক ঘা পড়লো&comma; আরেক ঘা পড়তে যাবার আগেই শিক্ষক পাঙ্খার ডাটি ধরে ফেললেন।<&sol;p>&NewLine;<p>উত্তেজিত আম্মা আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে খিস্তি করে বললেন&comma; পড়তে বসলেই তোর মালা গাঁথা আসে&comma; গোল্লাছুটের কথা মনে পড়ে&quest; হারামজাদা&excl; অ্যাই জাকিয়া আমার পাঙ্খা দে তো&comma; ওরে দেখাচ্ছি মজা&excl; আমার ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিলো&comma; আম্মা আর সেদিন মজাটা দেখাতে পারলেন না। দাদী ভেতর বাড়ির উঠোনে জলচকিতে বসে সান্ধ্যবিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হাঁক ছাড়লেন তিনি&comma; বড় বউ&comma; ম্যালা ওইছে&excl; আইজকের মতো ওর পড়া ক্ষান্ত দেও। আম্মা সাথে সাথেই শামুকের মতো চুপসে খোলসে ঢুকে গেলেন। পড়া শুরুর সেই দিনটি থেকে আজ অব্দি আম্মার &OpenCurlyDoubleQuote;তালের পাখাখানি” আমার পশ্চাতে উদ্দ্যত। তাঁর পাখার ডাটির &OpenCurlyDoubleQuote;আতঙ্ক” আমাকে শুদ্ধচিন্তায় প্রাণিত রেখেছে&comma; নৈতিকতার মার্গ দেখিয়েছে&comma; আদর্শিকতা আর জ্ঞানের অন্বেষায় শিক্ষানবিস রেখেছে।<&sol;p>&NewLine;<p>আমার উপরে তালপাখা প্রয়োগের পক্ষে আম্মার দুইখানা দর্শন ছিলো। তিনি বিশ্বাস করতেন&comma; আগের হাল যে দিকে যায়&comma; পেছনের হালও সেদিকেই ধায়। অর্থাৎ বড় সন্তানটির ক্ষেত্রে শাসনদন্ড শক্ত থাকলে পরেরগুলো আপনাআপনিই তা দেখে শিখে নেয়। তাঁর দ্বিতীয় দর্শনটি হলো&comma; শাসন বাস্তবায়নে &OpenCurlyDoubleQuote;মাইরের উপরে ঔষধ নাই”। হায়রে মাতা&comma; আপনার এই দর্শনযুগল যদি একটিবারের জন্য বড় সন্তানের চোখ দিয়ে দেখতেন&comma; তবে জগত সংসারের কি এমন অনিষ্ট হোত&quest; আম্মার শেষোক্ত দর্শনটির নিত্য ব্যবহার আমার জন্য অবিশ্বাস্য রকমের ভয়ঙ্কর ছিলো। আজ আমি এক রকম নিশ্চিত যে&comma; বাল্যে যদি দাদীর সুরক্ষা না পেতাম&comma; তাহলে আজকের লেখাটি অলেখাই থেকে যেতো।<&sol;p>&NewLine;<p>ষাটের দশকের গাঁয়ের বঁধু আমার আম্মা। সব সময় কুঁচি দিয়ে শাড়ি পরতেন। সেই যুগেও তাঁর শাড়ি আর ব্লাউজের রংয়ের মিলনে অমিল হতো না কখনও। ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে প্রতিদিন বিকেলে তুলতুলে তুলোর পফ দিয়ে তিব্বত পাউডার মুখে মাখতেন। লাল রঙের লিপিস্টিক মেখে আয়নার দিকে ঝুঁকে ঠোট আঁকুবাঁকু করে নিজ সৌন্দর্য পরখ করতেন। পছন্দ না হওয়ায় তা মুছে ফেলে হয়তো বা খয়েরী রংয়ের আরেকটি লিপিস্টিক হাতে নিতেন। অতি আঁচড়ানোতে হাড়ের চিরুনীখানা ক্ষয়ে যেতো&comma; তবুও তাঁর কোঁকড়ানো চুলে সিঁথি পড়তো না।<&sol;p>&NewLine;<p>আম্মার ফর্সা মুখখানায় কোন দাগ ছিলো না। ম্যাচকাঠির ডগা কাজলে ডুবিয়ে কোনদিন ডান গালে&comma; কোনদিন বা বাম গালে একটি তিলক ফোঁটা বসিয়ে মুখশ্রীতে বৈচিত্র আনতেন। টিপ পরতে দেখিনি কখনও আম্মাকে&comma; তবে চোখে কাজল দিতেন। কি ডাগর কালো চোখ তাঁর&excl; শাড়ির আঁচলে মাথায় ঘোমটা তুলে আম্মা যখন দাদীর পায়ে ছুঁইয়ে সালাম করতেন&comma; তখন তাঁর ব্যাক্তিস্বত্তার দ্যুতি যেন ঠিঁকরে বেরুতো। আম্মার মুখশ্রীতে আমি সব দিনই বিশ্বমায়ের আদল খুঁজে পেয়েছি। তবে আজও আমি বুঝতে পারি না যে&comma; এমন একজন সৌন্দর্যতৃষিত মানুষকে কেন তালপাখা’র উপর ভরসা রাখতে হবে&quest;<&sol;p>&NewLine;<p>বুড়িটা আমার পিঠাপিঠি ছোট বোন&comma; মাত্র বছর দেড়েকের ব্যাবধান আমাদের। সে ছিলো নাদুসনুদুস&comma; আর আমি চ্যাংটা পোংটা। এটা সেটা নিয়ে দুভাইবোনের মধ্যে সারাক্ষণ কাড়াকাড়ি মারামারি লেগেই থাকতো। শারীরিক শক্তিতে ওর সাথে পেরে উঠতাম না কিছুতেই। পানের থেকে চুন খসলেই বুড়ি আমাকে মেরে মাটিতে শুইয়ে দিতো। আমি ব্যাথায় কাঁতরাতে কাঁতরাতে যদি কখনও ওকে সামান্য আঘাত করতে পেরেছি&comma; তো আর যাই কোথা&excl; প্রথমেই সে নিজে থেকে মাটিতে শুয়ে পড়বে। তারপর ঠোট দুখানা ধীরে ধীরে ফাঁকা করে ভ্যাটকাবে খানিকক্ষণ। এদিক সেদিক তাকিয়ে আম্মা কতটা দূরে তা বোঝার চেষ্টা করবে।<&sol;p>&NewLine;<p>অত&colon;পর আমাদের রামদিয়া খালের সবটুকু জলের ধারা দুচোখে বইয়ে দিয়ে মরা কান্নার মাতম তুলবে। ছোট বেলায় ও ইচ্ছা করলেই চোখে পানি আনতে পারতো&comma; কি আশ্চর্য ক্ষমতা&excl; ওর অমন করুণ কান্না শুনে কণ্যাপ্রেমী আম্মা তালপাখা হাতে ছুটে আসতেন। আমিই যে বুড়িকে আধমরা করে ফেলেছি&comma; এমন সিদ্ধান্ত নিতে আম্মার কোনদিনই শুনানীর প্রয়োজন পড়েনি। সোজা পাখার ডাটি চালিয়ে দিতেন আমার পিঠে। ওদিকে বুড়িটা বিরাট খুশি&excl; নিজে তো আমাকে মেরেছেই&comma; আবার বুদ্ধি খাটিয়ে আম্মাকে দিয়েও মারাতে পেরেছে। ওর মুখে তখন লুকানো তৃপ্তির হাসি। সে হাসির অর্থ বিশ্বভ্রমান্ড জ্ঞাত না হলেও আমার তো মরমে বিঁধে&excl; আম্মার পাঙ্খার পিটুনি না হয় সহ্য করলাম&comma; কিন্তু বুড়ি’র সেই জয়ে আমি আজও দু&colon;খী&excl;<&sol;p>&NewLine;<p>আরো একটি টুকরো স্মৃতি বলে আজ শেষ করবো। একদিন পুষ্কুর্ণীতে ঘন্টাখানেক ধরে নাইছি। এর মধ্যে দুবার নাওয়া শেষ করার জন্য আম্মা খবর পাঠিয়েছেন। লোকমুখের খবরের তোয়াক্কা কে করে&quest; সাঙ্গপাঙ্গদের সাথে ডুবাচ্ছি&comma; সাঁতরাচ্ছি&comma; গাছের ডাল থেকে পুকুরে লাফিয়ে পড়ছি। বিশ্বভুবনের সব আনন্দ তখন আমার অধীন&excl; এর খানিক বাদেই আম্মা পুকুর ঘাটে এসে দাঁড়ালেন&comma; হাতে তাঁর তালের পাখা। আল্লাহ তুমি রহম করো&comma; এখন উপায়&quest; বেগতিক অবস্থা বুঝে হাসান একটা ফুটোওয়ালা কুঞ্চির নল এগিয়ে দিলো। ওটি মুখে পুরে গাঁদানো কঁচুরীপানার নিচে ডুব মারলাম। নলের ফুটো দিয়ে নিশ্বাস নিচ্ছি&comma; মাথা জাগানোর নামটি নেই। চারপাঁচ মিনিট পুকুরের কোথাও আমাকে দেখতে না পেয়ে আম্মার অন্তরে অশনিসংকেত বেজে উঠেলো। ছাওয়ালডা কি তয় ডুইবা মরলো&excl;<&sol;p>&NewLine;<p>আরো কতক্ষণ ডুবে থাকতে পেরেছিলাম ঠিক মনে নেই। তবে কঁচুরীপানার মধ্যে যখন হুস করে মাথা জাগালাম&comma; তখন আম্মা খুশি হওয়ার বদলে রণমূর্তী ধারণ করলেন&excl; এই মহিলার কান্ডজ্ঞান দেখে পুকুর পাড়ে অলস বসে থাকা সেদিনের বিজ্ঞজনেরা হতাশার দীর্ঘশ্বাস ছেড়েছিলেন। কোথায় জান ফেরত পাওয়া ছাওয়ালডারে বুকে টাইনা নিয়া আঁচলে মাথা মুছাইয়া দিবো&comma; তা না&excl; উল্টা তারে পিটাইয়া পুকরের পানি কিনা লাল কইরা দিলো&excl; আর সে লাল পানিও না হয় মাইনা নেওয়া গেল&semi; তাই বইলা এই গরমের দিনে একখান নতুন পাঙ্খা ভাইঙ্গা ফালাইতে হইবি&quest; ছাওয়াল মারার জন্যি গাঁয়ে কি বেত-কুঞ্চির অভাব পইড়ছে&quest;<&sol;p>&NewLine;<p>সেদিন আমাকে পেটানো নিয়ে আম্মার সাথে দাদীর দুকথা হয়েছিলো। আমি ঘরের মেঝেতে শীতল পাটির উপর ভুট হয়ে শুয়ে। আম্মা শিশি থেকে ডেটল ঢেলে পরিস্কার ত্যানায় মেখে দাদীর হাতে তুলে দিচ্ছেন। আর দাদী তাঁর মায়াবী হাতের ছোঁয়ায় আমার পিঠের ক্ষত পরিস্কার করছিলেন। আইচ্চা বড় বউ কও দেহি&comma; তুমি কি পাষাণ&quest; দাদী কথা উঠালেন। ছাওয়ালডারে তো তুমিই প্যাটে ধইরছো&comma; নাকি&quest; নিজির সন্তানরে কেউ এমনে পিটায়&quest; এত্তটুক আহাদতো কোন দিন করতি দেহি না&excl; আম্মা চুপ করে শুনছেন। খানিকবাদে বেদনাতুর কন্ঠে বললেন&comma; পোলাপাইনের আহাদ মা’র মনের মইধ্যে রাখতি হয়&semi; তয় শাসনটাই ওগো দেখানো দরকার। দাদী যেন স্বগতোক্তি করে বললেন&comma; কতাডা তুমি ঠিকই কইছো বড় বৌ&excl;<&sol;p>&NewLine;<p>আব্বা চলে গেলেন সেই ’৮০ সালে। পনেরো বছরের মতো বয়স তখন আমার&comma; আলভী দুই মাসের মাত্র&semi; মাঝে পাঁচটি বোন। আম্মার কি তখন জীবনসাথী হারাবার বয়স&quest; শক্ত হাতে হাল ধরলেন&comma; যে করেই হোক ছেলেমেয়েদের বাঁচিয়ে রাখতেই হবে। তালের পাখাখানি যেন তাঁর বজ্রমুঠিবদ্ধ হলো। আমি তাঁর লক্ষ্য। আমাকে পথে তুলতে পারলেই বাকি সন্তানদের নিয়ে তাঁকে আর ভাবতে হবে না। সেই থেকে আমি আম্মার সেনাপতি। তাঁকে তুষ্ট করতে কতবার যে অজানা জীবনঝুঁকিতে ঝাঁপ দিয়েছি&comma; সে কেবল আমিই জানি। আর প্রতিটি জয়ে অনুভব করেছি&comma; পিছনে উদ্যত সেই তালের পাখাখানিকে।<&sol;p>&NewLine;<p>আপনি ভাল থাকবেন আম্মা&comma; আপনাকে আমাদের বড়ই প্রয়োজন। হ্যাপি মাদার্স ডে&excl;<&sol;p>&NewLine;<p>&lpar;লেখক বাংলা টেলিভিশন কানাডা’র নির্বাহী&rpar;<&sol;p>&NewLine;

Exit mobile version