অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েলে আল-জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্কের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। রোববার (৫ মে) সংবাদ সংস্থাটিকে হামাসের মুখপত্র আখ্যা দিয়ে এর কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এর আগে একই দিন কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যমটি বন্ধে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দেয় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা। এক সরকারি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, ইসরায়েল কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচনা করছে। এরই মধ্যে নেসেট জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত বিদেশি সম্প্রচারকদের ইসরাইলে সাময়িকভাবে বন্ধ করার অনুমতি দিয়ে ইসরাইলের সংসদ একটি আইন পাস করার পরে মন্ত্রিসভায় এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

অনুমোদিত আইন অনুযায়ী নেতানিয়াহু এবং নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ৪৫ দিনের জন্য ইসরায়েলে বিদেশি টিভির কার্যালয় বন্ধ করতে পারবে, যা নবায়নযোগ্য। এটি জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত বা গাজায় বড় সামরিক অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এদিকে রোববার (৫ মে) জেরুজালেমের অ্যাম্বাসেডর হোটেলে কাতারি সম্প্রচার মাধ্যমের অফিসে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আল-জাজিরা বলছে, আল-জাজিরাকে ইসরায়েলি নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ দেখানো ‘বিপদজ্জনক এবং ডাহা মিথ্যা।’ চ্যানেলটি বলেছে, প্রতিটি আইনি পদক্ষেপ অনুসরণ করার অধিকার তাদের রয়েছে।

ইসরায়েলের যোগাযোগ মন্ত্রী শ্লোমো কারহি বলেছেন, অভিযানে আল-জাজিরার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এক্সে (সাবেক টুইটার) শ্লোমো কারহির করা এক পোস্টে দেখা গেছে, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পুলিশ অফিসার এবং ইন্সপেক্টররা একটি হোটেল রুমে প্রবেশ করছেন।

উল্লেখ্য, সাত মাস ধরে চলা হামাস-ইসারায়েল যুদ্ধে গাজায় উপস্থিত আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোর মধ্যে আল জাজিরা অন্যতম যারা বিমান হামলা এবং জনাকীর্ণ হাসপাতালের রক্তাক্ত দৃশ্য সম্প্রচার করেছে। একইসঙ্গে ইসরায়েলকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্তও করেছে সংবাদমাধ্যমটি।