স্পোর্টস ডেস্ক : ব্যাটিংটা বাজে হয়েছে, বোলিংয়ে শুরুতে আশা জাগালেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা পরিণত হয় দুরাশায়। দুই সেক্টরের ব্যর্থতায় আয়ারল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করা হলো না বাংলাদেশের। চট্টগ্রামে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে সাকিব আল হাসানের দল।

রান তাড়ায় নেমে তৃতীয় ওভারে উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে যান রস অ্যাডায়ার (৭)। ষষ্ঠ ওভারে শরীফুল ইসলামের বল উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লরকান টাকার (৪)। ব্যস, এটুকুই। এরপর দারুণ জুটি জমিয়ে তোলেন অধিনায়ক পল স্টার্লিং আর হ্যারি টেক্টর। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন আইরিশ অধিনায়ক।

১২তম ওভারেই তাদের স্কোর এক শ ছাড়িয়ে যায়। ৪১ বলে ১০ চার এবং ৪ ছক্কায় ৭৭ রান করা স্টার্লিংকে থামান অভিষিক্ত রিশাদ হোসেন। সীমানায় ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আইরিশদের স্কোর তখন ১০৯। ৩৬ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই তারা জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। টেক্টর ১৮ বলে ১৪* আর কার্টিস ক্যাম্ফার ৯ বলে ১৬* রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে আজ শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.২ ওভারে ১২৪ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে দুই শ ছাড়ানো স্কোর গড়া টাইগারদের শুরুটাই আজ বাজেভাবে হয়। ৪১ রানে নেই ৫ উইকেট। সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস (৫), নাজমুল হোসেন শান্ত (৪), রনি তালুকদার (১৪), অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (৬) ও তাওহীদ হৃদয় (১২)। দলীয় ৬১ রানে পড়ে আরো দুই উইকেট।

৬১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর টেলঅ্যান্ডারদের নিয়ে লড়াই করেন শামীম। খেলেন ৪২ বলে ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৫১ রানের ইনিংস। ১৭ বলে ১৩ রান করে শামীমকে ভালোই সঙ্গ দেন নাসুম আহমেদ। অভিষেক ম্যাচে ৭ বলে ৮ রান করেন লেগস্পিনার রিশাদ আহমেদ। আইরিশদের পক্ষে মার্ক অ্যাডায়ের ৪ ওভারে ২৫ রানে তিন উইকেট নেন। ম্যাথেও হুমফ্রেসের শিকার দুই উইকেট। উল্লেখ্য, প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এরই মধ্যে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা।