Home আইটি বিশ্ব আয়ের নেশায় সাইবার ক্রাইম

আয়ের নেশায় সাইবার ক্রাইম

&NewLine;<&excl;-- Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<amp-auto-ads type&equals;"adsense" data-ad-client&equals;"ca-pub-8846063755563353"><&sol;amp-auto-ads>&NewLine;<&excl;-- End Google AdSense AMP snippet added by Site Kit -->&NewLine;<p><strong>অনলাইন ডেস্ক &colon;<&sol;strong> সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেজ&comma; গ্রুপ কিংবা ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখান থেকে &&num;8216&semi;লাখ টাকা&&num;8217&semi; আয়ের নেশায় ভয়ংকর সাইবার ক্রাইমে জড়িয়ে পড়ছেন একশ্রেণির তরুণ-তরুণী। এ তালিকায় রয়েছেন শিক্ষার্থী&comma; ডাক্তার&comma; ইঞ্জিনিয়ারসহ উচ্চ ডিগ্রিধারীরা। ভাইরাল&comma; লাইক&comma; শেয়ার&comma; ভিউ&comma; ফলোয়ার বাড়াতে তারা বেছে নিচ্ছেন অসৎ ও বিকৃত পথ। কুরুচিপূর্ণ কিংবা আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তারা। পোস্ট করছেন বিকৃত ছবিও। নিজস্ব পেজ&comma; চ্যানেল কিংবা গ্রুপে সামাজিক প্রথাবিরোধী ভিডিও আপলোড করলে ভিউ ও ফলোয়ার বেশি হওয়ায় আয়ও বেশি হয়। এই হীন মানসিকতাই বিপথে নিয়ে যাচ্ছে তাদের। এ ছাড়া আপত্তিজনক ছবি তুলে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলও করা হচ্ছে।<&sol;p>&NewLine;<p>সর্বশেষ গত ৩ জুলাই ফেসবুকে গ্রুপ খুলে কুরুচিপূর্ণ ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই তরুণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বাওয়া স্কুলসহ বিভিন্ন স্কুল&comma; মার্কেট-শপিংমলের সামনে নারীদের টার্গেট করে কুরুচিপূর্ণ ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিতেন। গত ছয় মাসে এই তরুণ ইঞ্জিনিয়ার ৩০০ আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ ভিডিও তার ফান পেজে আপলোড করেছেন। তার সেই পেজে ৬৭ হাজার ফলোয়ার রয়েছে। এই পেজ চালিয়ে তিনি প্রায় লাখ টাকা আয় করতেন বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী কয়েকজনের অভিযোগের পর অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় এখন কারাগারে মুক্তাদির।<&sol;p>&NewLine;<p>চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার &lpar;ডিবি&rpar; আসিফ মহিউদ্দীন বলেন&comma; ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হলেও মুক্তাদির একজন বিকৃত রুচির তরুণ।<&sol;p>&NewLine;<p>খোঁজ নিয়ে জানা গেছে&comma; নূ্যনতম ১০ হাজার ফলোয়ার থাকলেই সেই পেজ&comma; গ্রুপ কিংবা চ্যানেল থেকে আয় করছেন তরুণ ও তরুণীরা। আর এই সুযোগ নিয়ে কিছু বিকৃত মনের উচ্চশিক্ষিতও জড়িয়ে পড়ছেন সাইবার অপরাধে।<&sol;p>&NewLine;<p>মাত্র ২৪ বছরে দুর্ধর্ষ হ্যাকার হয়ে উঠেছেন ওয়াহিদ মুরাদ নামের এক উচ্চশিক্ষিত তরুণ। ফেসবুকে তার &&num;8216&semi;দ্য ডার্টি অ্যানোনিমাস আর্মি&&num;8217&semi; নামে একটি হ্যাকার গ্রুপও আছে। তার গ্রুপের হ্যাকিংয়ের কবলে পড়ে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছেন নগরের বহু ফেসবুক ব্যবহারকারী। হ্যাকার ওয়াহিদ মুরাদের সর্বশেষ শিকার হন চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ ওআর নিজাম রোডের বাসিন্দা নারী উদ্যোক্তা রাহিলা সুলতানা। তার ফেসবুক হ্যাক করে জীবিত রাহিলাকে মৃত ঘোষণা করে একটি ডেথ সার্টিফিকেটও রাহিলার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে দেয় এ হ্যাকার গ্রুপ। সেই মামলায় চট্টগ্রাম কারাগারে রয়েছেন ওয়াহিদ।<&sol;p>&NewLine;<p>তাদের মতো ফেসবুকে &&num;8216&semi;গার্লস প্রায়োরিটি&&num;8217&semi; গ্রুপের অ্যাডমিন অভিজাত পরিবারের সন্তান তাসনুভা আনোয়ারও সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। নগরীর পাঁচলাইশের এক নারীকে ব্ল্যাকমেইল করার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাভোগ করেন তাসনুভা আনোয়ার। তার সঙ্গে সাইবার ব্ল্যাকমেইল করার ঘটনায় কারাভোগ করেন তাসলিমা চৌধুরী নামের এক দন্ত চিকিৎসক।<&sol;p>&NewLine;<p>চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন&comma; এখন যেসব তরুণ ও তরুণী সাইবার অপরাধে জড়িত&comma; তারা সবাই উচ্চাভিলাষী। ইউটিউব কিংবা ফেসবুককে অপব্যবহার করে টাকা আয় করতে মরিয়া হয়ে উঠছেন তারা। কয়েকটি মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে।<&sol;p>&NewLine;<p>মানবাধিকার আইনজীবী জিয়া হাবিব আহসান বলেন&comma; অপরাধ করার পরও আইন ও বিচারিক কিছু দুর্বলতার কারণে সাইবার ক্রাইমকে অনেকে এখন পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। কারণ&comma; সারাদেশের জন্য শুধু ঢাকায় একটি মাত্র সাইবার আদালত থাকায় এ অপরাধীরা অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। থানায় সাইবার অপরাধের অভিযোগ নিয়ে গেলে ইচ্ছে হলে মামলা নেয়&comma; না হলে নেয় না। এ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রতিটি জেলা ও দায়রা জজকে সাইবার অপরাধের মামলা নেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া উচিত সরকারের।<&sol;p>&NewLine;

Exit mobile version