অনলাইন ডেস্ক : টরন্টোর সিককিডস হাসপাতাল ইউক্রেনের ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে। হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সি ই ও) ডা. রোনাল্ড কোহন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, তারা আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘন্টার মধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত ২টি ইউক্রেনিয় শিশুকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর আশা করছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের হাসপাতালের সাথে সিককিডসের বিদ্যমান সম্পর্কের কারণে এসব শিশুদের চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। আমরা তাদের এই কঠিন সময়ে এই সহযোগিতা দিতে পেরে নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের ইউক্রেনিয় অংশীদারদের নিশ্চিত করতে চাই যে এখানে চিকিৎসার ক্ষেত্রে টরন্টোনিয়ান ও কানাডিয়ান শিশুদের মতোই তাদের যতœ নেয়া হবে। ক্যান্সারে আক্রান্ত আরও ইউক্রেনিয় শিশুকে এখানে গ্রহণ করা হবে কিনা তা নিশ্চিত করতে না পারলেও তিনি বলেন, আমাদের অনকোলজি বিভাগে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। কানাডিয়ান শিশু রোগীদের সেবায় কোন ধরনের ব্যাঘাত না ঘটিয়েও আরো ১০ থেকে ১৫ টি ইউক্রেনিয় শিশুকে সেবা দেয়ার সামর্থ আমাদের আছে। তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের ইউক্রেনিয় বন্ধুদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি এবং তাদের জানিয়েছি প্রয়োজন হলে আরো শিশুকে আমরা নিতে পারি। সিককিডস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেশের অন্য শিশু হাসপাতালগুলোর সাথেও যোগাযোগ করেছে, যাতে প্রয়োজন হলে তারাও ইউক্রেনিয় শিশুদের গ্রহণ করতে পারে। ডা. কোহন বলেন, ইউক্রেনে এখন ‘প্রকৃত যুদ্ধ পরিস্থিতি’ চলছে। এই সময় আমরা যদি তাদের পাশে দাঁড়াতে না পারি তবে তা হবে ‘অমানবিক’ একটি বিষয়। রোগাক্রান্ত শিশুদের সাহায্য করা আমাদের ‘নৈতিক দায়িত্ব’।
তিনি বলেন, ইউক্রেন থেকে কানাডায় আসার পথে শিশু ও তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রথমে সীমান্ত অতিক্রম করে পোল্যান্ডে যাবে। সেখান থেকে বিমানে কানাডায় আসবে। দীর্ঘ এই যাত্রা পথে স্বেচ্ছা সেবকেরা অসুস্থ শিশুদের যতটা সম্ভব সেবা যতœ করবে। টরন্টোর কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন ইউক্রেনিয় শিশুদের জন্য খেলনা সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। অনেকে শিশুদের পরিবারের সদস্যদের জন্য খাবার সরবরাহের দায়িত্ব নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রুশ হামলায় অনেক হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত সপ্তাহে মারিউপোল শহরে রুশ বিমান হামলায় একটি প্রসূতি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধের এই ভয়াবহতা থেকে শিশুদের রক্ষার দাবি জানিয়ে ডা. কোহন বলেন, সকল শিশুই বিশ্বের যে কোন স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকার রাখে। সূত্র : সিবিসি