Home আন্তর্জাতিক ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে ১১ লক্ষাধিক মানুষ: ল্যাভরভ

ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে ১১ লক্ষাধিক মানুষ: ল্যাভরভ

অনলাইন ডেস্ক : গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর গত দু’মাসে ইউক্রেনে থেকে পালিয়ে রাশিয়া এসে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১১ লাখ ২০ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে ১০ লাখ ২ হাজার ইউক্রেনের এবং বাকি ১ লাখ ২০ হাজার অন্যান্য দেশের নাগরিক।

আশ্রয় নেওয়া এসব লোকজনের সবাই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্কের।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সম্প্রতি চীনের সরকারি বার্তাসংস্থা সিনহুয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। শনিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ছাপাও হয়েছে সেই সাক্ষাৎকার।

ল্যাভরভ আরও বলেছেন, ইউক্রেনের আরও ২৮ লাখ মানুষ রাশিয়ায় আশ্রয়লাভের জন্য আবেদন করেছেন।

তবে ল্যাভরভের এই সাক্ষাৎকারের প্রতিক্রিয়া ইউক্রেনের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—দনেতস্ক, লুহানস্কসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ‘জোর করে’ হাজার হাজার লোকজনকে রাশিয়ায় ঢুকতে বাধ্য করছে রুশ সেনারা।

পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অবিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার দু’দিন আগে, ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ২ ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।

অভিযানের শুরুর দিকে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে হামলা চালায় রুশ সেনারা। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, রুশ বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ৫৪ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

ইতোমধ্যে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকা খেরসনের দখল নিয়েছে রুশ সেনারা। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর মারিউপোলের চুড়ান্ত পতনও সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে ‘নাৎসী মুক্তকরণ’ ও ‘নিরস্ত্রকরণ’ ছিল এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য এবং কিয়েভের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক চুক্তিতে যেতে আগ্রহী মস্কো; তবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা।

এ সম্পর্কে সিনহুয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, ‘কিয়েভের ক্ষমতাসীন সরকারকে প্রকাশ্য সহযোগিতা, নিয়মিত ইউক্রেনে অস্ত্র সহায়তা পাঠানোসহ এই যুদ্ধকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা প্রয়োজন, তার সবই করছে ন্যাটো।’

সূত্র: রয়টার্স

Exit mobile version