অনলইন ডেস্ক : ইতিহাস কোনো স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৭ আগস্ট) সকালে আইডিইবি মিলনায়তনে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল এডুকেশন দর্শন বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং দুস্থদের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা তাকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল আজ তারাই ইতিহাস থেকে মুছে যাচ্ছে।’

যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের জীবনেও ঘটেছে রক্তাক্ত বিদায়ের ট্র্যাজেডি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, হত্যা-হত্যাকেই ডেকে আনে, হত্যা কাউকে ক্ষমা করে না।

করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘এমন সংকটে সব রাজনৈতিক দলের একটাই রাজনীতি হওয়া উচিত, তা হলো মানুষকে বাঁচানো, বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি পেশাজীবি সংগঠনগুলোকেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি ভ্যাকসিন গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা ও অসহায় মানুষের প্রতি মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের উপযোগী জনশক্তি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘গড়ে তুলতে হবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ডিজিটাল বিপ্লব এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী কারগরি দক্ষতাসম্পন্ন জনশক্তি। করোনা পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রশিক্ষিত জনবলের যে চাহিদা তৈরি হবে, সে চাহিদার বিপরীতে বাংলাদেশ যেন সর্বোচ্চ সুযোগ নিতে পারে, সে বিষয়টি আমাদের এখনই ভাবতে হবে।’

আইডিইবির সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম হামিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমানসহ বিভিন্ন নেতারা।

পরে দুস্থদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন আইডিইবির নেতারা।