অনলাইন ডেস্ক : সৌদি আরবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেই তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি বিরোধী অবস্থানের কারণে ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি ব্লুমবার্গ।

দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যেই জানা গেল ইসরায়েল বিরোধীদের ওপর চড়াও হওয়ার খবর মিলল। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মুসলিম দেশ সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭৪ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

হামাসকে সমর্থন ও অর্থায়ন করে থাকে ইরান। তাদের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক সৌদি আরবের। মধ্যপ্রাচ্যে একাধিক ইস্যুতে এই দুই পরাশক্তির দ্বন্দ্ব রয়েছে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের আশঙ্কা ইসরায়েলের বিরোধিতা করতে গিয়ে সৌদিদের মধ্যে ইরানের প্রভাব চলে আসতে পারে। সেজন্য তারা কঠোরভাবে তা দমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ব্লুমবার্গকে সৌদি সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে সৌদিতে ইরানপন্থি একটি প্রভাবের বিস্তার ঘটতে পারে। আর এই আশঙ্কা থেকে এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।